উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
দেশের সীমান্ত এলাকার রেল সংযোগ সংক্রান্ত প্রকল্পের বিস্তারিত খতিয়ান পেশ করতে গিয়ে এদিন লিখিতভাবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক রেলপ্রকল্পেরও সবিস্তার তথ্য দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তাতে দেখা যাচ্ছে রাধিকাপুর (ভারত)-বিরোল (বাংলাদেশ) আ কিলোমিটার রেল লিঙ্ক প্রকল্প ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসেই বাস্তবায়িত হয়ে গিয়েছে। একইভাবে একলাখি-বালুরঘাট ৮৭ কিলোমিটার নতুন লাইন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। তিন কিলোমিটার লম্বা হলদিবাড়ি ইন্টারনেশন বর্ডার নিউ লাইন প্রকল্পে সিভিল ওয়ার্ক শেষ হয়েছে এবং ইঞ্জিনও চালানো হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। কিন্তু বালুরঘাট-হিলি ৩০ কিলোমিটার লম্বা নতুন লাইন তৈরির কাজ এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ করা যায়নি। কারণ এই কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। অন্যদিকে এদিন বাঁকুড়ার এমপি সুভাষ সরকারের করা অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাঁকুড়াতে এখন কোনও নতুন ট্রেন চালু করা হবে না। লোকসভায় লিখিতভাবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘বাঁকুড়া স্টেশনের উপর দিয়ে বর্তমানে ৫১টি মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। সেই ট্রেনগুলি বাঁকুড়ার সঙ্গে কলকাতা, দিল্লি, গুয়াহাটি, চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, আসানসোল, ধানবাদ, রাঁচি, খড়্গপুর, পাটনা, ভুবনেশ্বর, বিশাখাপত্তনম, এর্নাকুলাম, এলাহাবাদের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরকে সংযুক্ত করে। ফলে পর্যাপ্ত ট্র্যাফিকের কথা বিবেচনা করে এই মুহূর্তে বাঁকুড়াতে আর নতুন ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।’
যদিও নতুন ট্রেন চালানোর দাবি খারিজ করে দিলেও বাঁকুড়ায় গেজ কনভার্সনের প্রকল্পের উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেছেন, ‘বাঁকুড়াতে ইতিমধ্যেই আদ্রা-খড়্গপুর ডাবল রুট রয়েছে। এরই পাশাপাশি ৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁকুড়া-দামোদর ভ্যালি গেজ কনভার্সন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। যার আওতায় রয়েছে বোয়াইচণ্ডী-খনা, রায়নগর-মশাগ্রাম, বাঁকুড়া (ছাতনা)-মুকুটমণিপুর, মুকুটমণিপুর-উপ্রাসোল, বাঁকুড়া (কলাবতী)-পুরুলিয়া ভায়া হুড়া এবং মুকুটমণিপুর-ঝিলমিল নিউ লাইন মেটেরিয়াল মডিফিকেশনস (এমএম)। এটি মোট ৩০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এবং এর অনুমোদিত বরাদ্দের পরিমাণ মোট ২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। রেলমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ‘এর মধ্যে বাঁকুড়া-রায়নগর গেজ কনভার্সন এবং রায়নগর-মশাগ্রাম এমএম প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হয়ে গিয়েছে। বাকি যা রয়েছে, তা পর্যাপ্ত জমির অভাবে করা যাচ্ছে না। রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় জমি দিতে পরেনি।’ অন্যদিকে বিজেপি এমপি শান্তনু ঠাকুরের করা আরেক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এদিন লিখিতভাবে লোকসভায় জানিয়েছেন, ‘পর্যাপ্ত জমির অভাবেই মছলন্দপুর-স্বরূপনগর এমএম প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না।’