আমেদাবাদ, ১৯ নভেম্বর: ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার ফের বিতর্কের কেন্দ্রে স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী নিত্যানন্দ। গুজরাতের আমেদাবাদে তাঁর আশ্রমে দুই মেয়েকে বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছেন এক দম্পতি। সোমবার বিষয়টি নিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন জনার্দন শর্মা এবং তাঁর স্ত্রী। আদালতে দম্পতি জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুতে স্বামী নিত্যানন্দ পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের চার মেয়েকে ভর্তি করেছিলেন তাঁরা। সেই সময় তাঁদের মেয়েদের বয়স ছিল সাত থেকে পনেরো বছরের মধ্যে। চলতি বছরে তাঁদের নিত্যানন্দ ধ্যানপীঠমের অন্য একটি শাখায় নিয়ে যাওয়া হয়। যোগিনী সর্বজ্ঞপীঠম নামে এই শাখাটি আমেদাবাদের দিল্লি পাবলিক স্কুলের চত্বরে অবস্থিত। একথা জানতে পেরেই জনার্দন এবং তাঁর স্ত্রী মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাঁদের তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিসের সাহায্য নিয়ে নাবালিকা দুই মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হন জনার্দন। কিন্তু বড় ও মেজ মেয়ে ২১ বছরের লোপামুদ্রা এবং ১৮ বছরের নন্দিতা তাঁদের সঙ্গে ফিরে আসতে চাননি।
ওই দম্পতির অভিযোগ, বড় এবং মেজ মেয়েকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নাবালিকা দুই মেয়েকেও দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অপহরণ করে বন্দি রাখা হয়। তাদের ঠিকমতো ঘুমোতেও দেওয়া হয়নি। ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছেন জনার্দন। আদালতের কাছে মেয়েদের তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানে এরকম আরও নাবালিকাদের আটকে রাখার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসে একটি ধর্ষণের মামলায় স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কর্ণাটকের একটি আদালত।