কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের আওতাভুক্ত মেরিন প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে সি-ফুড বা মাছ সহ সামুদ্রিক খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১৭ লক্ষ ৮২ হাজার মেট্রিক টন। ভারতীয় মুদ্রায় মিলেছে প্রায় ৬০,৫২৪ কোটি টাকা। তবে তার আগের অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) পরিমাণে কম সি-ফুড রপ্তানি হয়েছিল ভারত থেকে। সেবার পণ্যের মোট ওজন ছিল ১৭ লক্ষ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু দাম পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ৬৩,৯৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার পরিমাণ বাড়লেও, দাম মেলেনি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের মতো।
গত অর্থবর্ষে সবচেয়ে বেশি সি-ফুড কিনেছে আমেরিকা। বিশ্ব বাজারে ভারতের রপ্তানির ৩৫ শতাংশ ধরে রেখেছে তারা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় গতবার আমেরিকা ৭.৪৬ শতাংশ বেশি মাছ ও সামুদ্রিক পণ্য কিনেছে ভারত থেকে। কিন্তু সেই তুলনায় ভারতীয় মুদ্রায় বাড়তি পাওয়া গিয়েছে মাত্র ১.৪২ শতংশ। মার্কিন ডলারের নিরিখে হিসেব কষলে অবশ্য ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় ৩.১৫ শতাংশ কম পাওয়া গিয়েছে গত অর্থবর্ষে। ভারতীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম সি-ফুডের বাজার চীনের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি, বলছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির তথ্য। জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে ভারতীয় রপ্তানির ২৫.৩৩ শতাংশ বাজার দখলে রেখেছে তারা। ওজন বা পরিমাণের নিরিখে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় বৃদ্ধির হার ১২.৮ শতাংশ। তবে দামের নিরিখে এখানেও পিছিয়ে পড়েছে ভারত। টাকার নিরিখে কম পাওয়া গিয়েছে ০.৮৮ শতাংশ এবং মার্কিন ডলারের নিরিখে দাম কম মিলেছে ৪.২১ শতাংশ। রপ্তানির নিরিখে আমেরিকা ও চীনের পর ভারতীয় মাছের বাজার ধরে রেখেছে জাপান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং কানাডা। যে পরিামণ মাছ ও অন্যান্য সামগ্রী রপ্তানি হয়েছে, তার সিংহভাগই যে চিংড়ি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, বলছে বাণিজ্য মন্ত্রকের আওতায় থাকা সংস্থাটি। রপ্তানিকারক সংস্থাগুলির একাংশে দাবি, পণ্য পরিবহণের খরচ বেড়ে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির জোগান বেড়ে যাওয়ার কারণেই এবার ততটা ভালো দাম পাওয়া যায়নি।