কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এদিন নবান্ন সভাঘরে বণিক সভার প্রতিনিধি সহ হর্ষ নেওটিয়া, সুশীল মহতা, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক সারেন মমতা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকের শুরুতেই উপস্থিত সকলকে মমতা বলেন, নির্বাচনের জন্য গত তিন মাস আপনাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। রাজ্যের শিল্প ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। সেই কারণে মাঝেমধ্যেই আপনাদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য দেখা করা উচিত।
শিল্পপতিদের সঙ্গে আলোচনা করেই এদিন আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে বিশ্ববঙ্গ শপিং ফেস্টিভালের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর আগে ১৫ দিন ধরে চলা এই ফেস্টিভালে হস্তশিল্প, বস্ত্র ও ক্ষুদ্র শিল্প, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য সহ রাজ্যের সমস্ত বিখ্যাত পণ্য তুলে ধরা হবে বিশ্বের সামনে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আদলেই নানা দেশের প্রতিনিধিরা আসবেন এই শপিং ফেস্টিভালে। প্রসঙ্গত, দুবাই, সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত জায়গায় এই ধরনের ফেস্টিভালের আয়োজন করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে আর বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজন সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, তিন মাস ধরে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলার কারণে প্রস্তুতিই নেওয়া যায়নি। সেকারণেই চলতি বছরে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করা গেল না। ২০২৫ সালে ফের এর পসরা।
এদিনের বৈঠকে রাজ্যের পাঁচটি আর্থিক করিডোর দ্রুত তৈরির পাশাপাশি রপ্তানিতেও জোর দেওয়ার কথা বলেন মমতা। তৃতীয়বার সরকারে এসে বাংলাকে দেশে শিল্পের এক নম্বর করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর আড়াই বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে বাংলায়। তবে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা সম্পূর্ণ কাজে লাগিয়ে ২০২৬’এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় আরও বেশি মাত্রায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই লক্ষ্য মমতার। আগামী তিন মাসের মধ্যে ফের শিল্পপতিদের সঙ্গে মমতা বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।