কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
অন্যদিকে, দুবাইয়ের লুলু গ্রুপের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে লুলু গ্রুপের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর, এই শিল্পগোষ্ঠীর বাংলায় বিনিয়োগের জন্য জমি থেকে শুরু করে যা যা প্রয়োজন, তা দ্রুত নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃতীয়বার সরকারে এসে মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে শিল্পে দেশের এক নম্বর করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য রাজ্যের যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান। এদিকে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দেশে বেকারত্বের হার নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন মমতা। আর রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকলেও, মামলার জন্য তা করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও একাধিক নির্বাচনী প্রচারে জানিয়েছেন তিনি। তবে সরকারি চাকরি ছাড়াও, বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে রাজ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে নবান্ন। সেজন্য ভোট মিটতেই ফের শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের তরফে বণিকসভাগুলির পদস্থ কর্তা থেকে শুরু করে একাধিক শিল্পোদ্যোগীকে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রতিটি দপ্তরের মন্ত্রী এবং আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচন পরবর্তী সময় একেবারে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে আধিকারিকদের কী কী করণীয়, সে বিষয়ে দিকনির্দেশ করেছেন তিনি। এবার শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নেবেন মমতা। আগের এই ধরনের বৈঠকগুলিতে একাধিক মতামত জানিয়েছিলেন বণিকসভার প্রতিনিধি এবং শিল্পোদ্যোগীরা। সেই সমস্ত মতামত অনুযায়ী পরবর্তীকালে রাজ্যের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, বিগত বৈঠকগুলির আলোচনার ভিত্তিতে শিল্পনীতিতে একাধিক বদল আনা হয়েছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, পাঁচ একর জমি থাকলেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপনের অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্যক্তিগত জমিতেও শিল্প পার্ক তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর জেরে বেড়েছে বিনিয়োগ। এবারের বৈঠকের আলোচনার ভিত্তিতে এই ধরনের কোনও বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে শিল্পমহল।