কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার শহরে বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কলকাতার চিফ কাস্টমস কমিশনার মদনমোহন সিং বলেন, ৫ জুন থেকে ডিউটি ড্রব্যাকের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে রপ্তানিকারীর প্রাপ্য টাকা সরাসরি চলে যাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। আগে এই কাজে পরোক্ষ কর দপ্তরের কর্মী-অফিসারদের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতো। তাতে সময় বেশি লাগত। কিন্তু এখন থেকে তাঁদের হস্তক্ষেপের দরকার হবে না। গোটা প্রক্রিয়াটি সম্ভব হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাবলিক ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে। এতে লেনদেনে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে এবং রপ্তানিতে গতি আসবে, দাবি কাস্টমস কর্তার। প্রসঙ্গত, অনেক সময় ব্যবসায়ীকে কাঁচামাল বা উপকরণ আমদানি করার সময় কাস্টমস ডিউটি মেটাতে হয় বা তার জন্য এক্সাইজ ডিউটি প্রযোজ্য হয়। এরপর রপ্তানির উদ্দেশ্যে ওই কাঁচামাল দিয়ে পণ্য উৎপাদন করা হলে কর ছাড় পান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী। একেই বলে ডিউটি ড্রব্যাক। কেন্দ্রের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় কাগুজে নথির প্রয়োজনীয়তা কমবে।
সিআইআইয়ের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই রপ্তানির বহর বাড়াতে সাহায্য করবে। সরকার এখন নিয়ন্ত্রক নয়, রপ্তানিতে সহায়ক হিসেবে তার ভূমিকা পালন করে। সরকার যত বেশি এই ধরনের প্রশাসনিক সুবিধা করে দেবে, তত বেশি সংখ্যক নতুন সংস্থা রপ্তানিতে উৎসাহিত হবে। এক লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যপূরণে প্রশাসনিক পদক্ষেপ জরুরি। তাতে উৎপাদন ও রপ্তানি সংক্রান্ত খরচ কমবে। প্রতিযোগিতার বাজারে তা ভারতকে সুবিধা করে দেবে। আমরা চাই, সরকার বন্দর ও রপ্তানির এলাকাগুলিতে কাস্টমস সংক্রান্ত পদ্ধতিগুলির স্ট্যান্ডার্ড বা গুণগত মান বাড়াক। একটি কমন অনলাইন পোর্টাল চালু হোক, যেখানে বন্দর সংক্রান্ত সব বিজ্ঞপ্তি একসঙ্গে থাকবে। আন্তর্জাতিক স্তরে কাস্টমস সংক্রান্ত সেরা পদক্ষেপগুলি এখানেও চালু করা হোক, দাবি সঞ্জয়বাবুর। তাঁর কথায়, রপ্তানিকারীদের সঙ্গে সরকারের আইনি ঝামেলা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হোক।