উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
খাদ্যরসিক বাঙালির মন জয় করতে ২০১৫ সালে প্রথমবার আস্ত একটা খাবারের মেলার আয়োজন করে রাজ্য সরকার। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধীনে সেই মেলা শুরু হয় ইএম বাইপাসের ধারে মিলনমেলা প্রাঙ্গণে। প্রথমবার মেলা বসেছিল তিনদিনের জন্য। অর্থাৎ যেদিন সন্ধ্যায় মেলার উদ্বোধন হয়েছিল, তার পরের দু’দিন মেলায় ঘুরে চুটিয়ে খাওয়াদাওয়া পর্ব সেরেছিলেন দর্শকরা। পরের বার থেকে মেলার বহর ও সময় বাড়তে থাকে। কিন্তু দু’বছর আগেই মিলনমেলা থেকে ঠিকানা বদল করে আহারে বাংলা উঠে আসে নিউটাউনে। সেখানে দর্শক আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল উদ্যোক্তাদের মধ্যেই। কিন্তু আশঙ্কা উড়িয়ে পরপর দু’বারই সুপারহিট হয় আহারে বাংলা। এবারও ফের ঠিকানা বদল হয়েছে মেলার। তবে তাতে মানুষের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। যেহেতু বইমেলা সহ হরেক মেলার আয়োজন করে ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল পার্ক জনপ্রিয় হয়েছে, তাই আশাবাদী সরকার।
এবার নোডাল এজেন্সি হিসেবে মেলার দায়িত্বে থাকছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আওতায় থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। এখানকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার রবিবার বলেন, এখনও পর্যন্ত মোট ১১৬টি খাবার প্রস্তুতকারক সংস্থা মেলার হাজির থাকছে। তার অধিকাংশই রেস্তরাঁ, যারা রান্না করে মেলার মাঠে খাওয়াবে। পাশাপাশি ৩৭টি স্টল থেকে নানা খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হবে। এমডি বলেন, এবার নিরামিশাষীদের জন্য আমরা আস্ত একটা প্যাভিলিয়ান রেখেছি। এখানে বিভিন্ন সংস্থা নিরামিষ পদ রান্না করে ও সাজিয়ে বিক্রি করবে। যেভাবে নিরামিশাষী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তারই চাহিদা মেটাতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।
মিষ্টিকে এবারও মেলায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কলকাতার নামজাদা মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক সংস্থাই শুছু নয়, সেই তালিকায় আছে নদীয়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলার বহু দোকান, যেখানে আঞ্চলিক মিষ্টির সম্ভার থাকবে। এমন স্টল থাকছে, যেখান থেকে বিভিন্ন খাদ্যবস্তু কিনে নিয়ে যেতে পারবেন গ্রাহক। তার কোনওটি একেবারেই কাঁচামাল, অথবা কোনওটি শুধু বাড়িতে বসে গরম করে খেলেই হবে। থাকবে চা, কফির আয়োজনও।
মেলার উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এবার আহারে বাংলায় সাধারণ মানুষের জন্য কোনও রান্না প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা না থাকলেও, প্রতিদিনই নামজাদা শেফ’দের ‘লাইভ’ শো থাকছে। অর্থাৎ তাঁরা দর্শকদের সামনে রান্না করে দেখাবেন নানা পদ। চাইলে দর্শক জেনে নিতে পারবেন রান্নার নানা খুঁটিনাটি।