শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
সামির ওডিআই কেরিয়ারে এটা ষষ্ঠ পাঁচ উইকেট। তবে এবারের তাৎপর্য আলাদা। ২০২৩ সালে একদিনের বিশ্বকাপে তিনিই ছিলেন সর্বাধিক উইকেটশিকারী। কিন্তু ফাইনালের পর চোটের জন্য দলের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। গত মার্চে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। গোড়ালির পর হাঁটুতেও দেখা দেয় সমস্যা। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও তাই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া হয়নি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘটে প্রত্যাবর্তন। কিন্তু সেরা ছন্দে দেখায়নি তাঁকে। দুবাইয়ে অবশ্য পুরনো মেজাজেই হাজির ৩৪ বছর বয়সি।
কেমন ছিল চোট সারিয়ে ফেরার দিনগুলো? সামি বলেছেন, ‘কখন মাঠে ফের পা রাখতে পারব, সেটাই ভাবতাম ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটার সময়। আবার কি বল করতে পারব? প্রথম দু’মাসে এই চিন্তাই কুরে কুরে খেত। এই পর্যায়ে ১৪ মাস বাইরে থাকার পর ফেরা সহজ নয়। ডাক্তারকে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল, ‘মাঠে ফিরতে আর কত দিন লাগবে?’ উনি বলেছিলেন, ‘প্রথমে হাঁটা, তারপর জগিং, ক্রমশ দৌড়নো, এভাবেই এগতে চাইছি। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট অনেক দূরের ভাবনা।’ অস্ত্রোপচারের ৬০ দিন পর প্রথমবার মাঠে পা রাখার সময় আতঙ্কিত ছিলাম। এত ভয় আগে কখনও পাইনি। শিশু যেভাবে প্রথম হাঁটতে শেখে, তেমনই মনে হচ্ছিল।’ তাঁর কথায়, ‘দেশের হয়ে খেলার তাগিদ আমাকে যাবতীয় ব্যথা সহ্য করার শক্তি জুগিয়েছে। খুব কঠিন ছিল দিনগুলো। কিন্তু হাল ছাড়িনি। দেশের হয়ে যতদিন সম্ভব খেলাই ছিল আমার মোটিভেশন। কারণ, খেলা ছাড়ার পর আমার সঙ্গে অন্যদের কোনও ফারাক থাকবে না।’