অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
তবে প্রদীপের নীচে অন্ধকারের মতো সূর্যকুমারের অফ ফর্ম চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। গত ১৭টি ইনিংসে তিনি করেছেন ৪২৯ রান। গড় ২৬.৮১। প্রশ্ন উঠছে, অধিনায়কত্বের চাপ কি সূর্যর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে? তাঁর মতো একজন দক্ষ ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতা নিঃসন্দেহে অশনি সংকেত। সূর্য ব্যাট করেন টপ অর্ডারে, তিনে বা চারে। বারবার তাঁর দ্রুত আউট হয়ে মাঠ ছাড়ার ঘটনায় চাপ বাড়ছে বাকিদের উপর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সেটা বোঝা যায়নি অভিষেক শর্মার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে। আর গত ম্যাচে ম্যাচ জেতানো দায়িত্বশীল ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিলক ভার্মা। তাতে চাপা পড়ে গিয়েছে সূর্যর ব্যর্থতা। তবে দ্রুত চেনা ছন্দে ফিরতে হবে ভারত অধিনায়ককে। তাতে পরের বছর ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন আরও উস্কে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে, মহম্মদ সামির কামব্যাক ম্যাচ নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। কারণ কোর টিমে খুব বেশি বদল হওয়ার সম্ভাবনা কম। ওপেনিংয়ে সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গী হিসেবে অভিষেককেই দেখা হচ্ছে। তিনে সূর্য ও চারে তিলকের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। চোটের কারণে রিঙ্কু সিং ও নীতীশ রেড্ডি নেই। তাই শিবম দুবে ও রামনদীপ সিংয়ের প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা প্রবল।
আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছে টিম ইন্ডিয়া। হার্দিক পান্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং অক্ষর প্যাটেলের মতো দক্ষ অলরাউন্ডারের উপস্থিতি ভারতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করেছে। পেস বোলিংয়ে অর্শদীপ সিংই প্রথম পছন্দ। স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে বরুণ চক্রবর্তী ও রবি বিষ্ণোইয়ের মধ্যে লড়াই প্রবল।
পর পর দু’টি ম্যাচ হেরে প্রবল চাপে ইংল্যান্ড। ওপেনার ফিল সল্ট নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। চূড়ান্ত ব্যর্থ ডাকেটও। যেটুকু লড়াই দেখা গিয়েছে, তা ক্যাপ্টেন বাটলারের ব্যাটে। বাকি ব্যাটসম্যানরা ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারেননি। তার মধ্যে ব্রাইডন কার্সের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বেশ নজর কাড়া। নতুন বলে জোফ্রা আর্চার ও মার্ক উডও বিপাকে ফেলেছেন প্রারম্ভিক ব্যাটসম্যানদের। সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে মরণ কামড় দিতে চাইবে ইংল্যান্ড।
ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭টায়। স্টার স্পোর্টসে সম্প্রচার।