কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
শুক্রবার বিকেলের ফ্লাইটে হায়দরাবাদ পৌঁছয় ইস্ট বেঙ্গল। বৃষ্টিতে মাঠের অবস্থা ভালো নয়। প্রতিপক্ষের পাশাপাশি সেটাও চিন্তায় রাখছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এই ধরণের ম্যাচে দ্রুত গোল না হলে সমস্যা বাড়ে। তাই আক্রমণাত্মক ফুটবলের স্ট্র্যাটেজি তৈরি অস্কারের। কেরালাইট বিষ্ণুর কাফ মাসলে হাল্কা চোট রয়েছে। তবে থিঙ্কট্যাঙ্ক তাঁকে খেলাতে মরিয়া। ব্রুজোঁ জানেন, শুরুতে লক্ষ্যভেদ হলে চাপ কমবে অনেকটাই। গ্রিক স্ট্রাইকার দিয়ামানতাকোসের সঙ্গে ডেভিডকেও তৈরি রাখা হচ্ছে। মিজো তরুণের রোল মডেল সুনীল ছেত্রী। ছ’গজের বক্সে সুনীলের মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে গেলে পেরতে হবে অনেকটা পথ। ম্যাচের আগে ডেভিড বললেন, ‘কোচ আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। তা কাজে লাগিয়ে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে।’
কোন অঙ্কে যুদ্ধজয়ের পরিকল্পনা কষছেন ব্রুজোঁ? বিপক্ষের দুই উইং ব্যাক নড়বড়ে। দ্রুত গতির উইং হাফের বিরুদ্ধে খেই হারাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে মহেশ, বিষ্ণু, আমন, সায়নের মতো ছটফটে ফুটবলার লাল-হলুদের শক্তি। পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁদের ব্যবহারের ভাবনা রয়েছে ব্রুজোঁর। আইএসএলের ইতিহাসে কখনও টানা তিন ম্যাচ জেতেনি ইস্ট বেঙ্গল। সেই ট্রেন্ড ভাঙতে বদ্ধপরিকর ক্লেটনরা। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে মাধি তালালের বিকল্প হিসেবে খেলানো হচ্ছে। গত দু’টি ম্যাচে ক্লেটন বুঝিয়েও দিয়েছেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। বছরের শেষ যুদ্ধে ব্রাজিলিয়ানের দিকে তাকিয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড। বিশেষ করে ডেড বল মুভমেন্টের ক্ষেত্রে ক্লেটনের জুড়ি নেই। অন্যদিকে, কার্ড সমস্যায় অনুপস্থিত হেক্টর ইউস্তে। তাঁর পরিবর্তে হিজাজির সঙ্গে জুটি বাঁধবেন আনোয়ার। হায়দরাবাদের বিদেশি স্ট্রাইকার এডমিলসন বেশ বিপজ্জনক। গত ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইডের বিরুদ্ধে জোড়া লক্ষ্যভেদ ছিল তাঁর। অতএব আনোয়ারদের সতর্ক থাকতেই হবে।
১২ ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট হায়দরাবাদের। চলতি টুর্নামেন্টে ২৫টি গোল হজম করেছেন আলেক্স সাজিরা। তবু গতি আর ফিটনেসে চমক দিতে তৈরি হায়দরাবাদ। শেষ পাঁচ ম্যাচ হারলেও ঘরের মাঠে ইস্ট বেঙ্গলকে থামাতে তৈরি তারা।