কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এখনও পর্যন্ত ইউরো কাপে অবশ্য দুই মহাতারকা প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় ফ্রান্স পৌঁছেছে শেষ আটে। এমবাপে ম্যাচ টাইমে পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপিয়েছেন। আর রোনাল্ডো লক্ষ্যভেদের স্বাদ পেয়েছেন টাই-ব্রেকারে। স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে তার আগে অবশ্য তিনি পেনাল্টি মিস করেন। কিন্তু গোলরক্ষক ডিয়োগো কোস্তার বিশ্বস্ত হাত (তিনটি সেভ) পর্তুগালকে পৌঁছে দেয় শেষ আটে। টাই-ব্রেকারের ফল ৩-০।
চারটে ফ্রি-কিক, পেনাল্টি মিস, কয়েকবার ওয়ান ইজ টু ওয়ান পরিস্থিতিতে বল জালে পাঠাতে পারেননি সিআরসেভেন। অতিরিক্ত সময়ের অন্তিম লগ্নে স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক তাঁর পেনাল্টি আটকে দেন। এই মুহূর্তে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ পর্তুগাল অধিনায়ক। তিনি তো মহাতারকা। নামের পাশে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। সোনালি অতীতে কত স্মরণীয় গোল করে দলকে জিতিয়েছেন। আর ৩৯ বছর বয়সে ইউরোর মঞ্চে রেকর্ড বুকে (সবচেয়ে বেশি বয়সে গোলের নজির) নাম তুলতে তাঁকে মাথা খুঁড়ে মরতে হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, ভগবান বৃদ্ধ হয়েছেন। রোনাল্ডোকে কাঁদতে দেখে গ্যালারিতে বসা তাঁর মায়ের চোখও ছলছল করে উঠেছে। অনেকেই খোঁচা দিয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকাকে। কেউ লিখেছেন, ‘অনেক তো হল, এবার তো অবসর নিন।’ একধাপ এগিয়ে আর এক ফুটবলপ্রেমী লেখেন, ‘বয়সের ছাপ স্পষ্ট খেলায়। তোমার থেকে আর কিছু পাওয়ার নেই।’
আসলে সিআরসেভেন এখন অস্তমিত সূর্য। বয়স তো বড় বালাই। ৩৯ শুধু সংখ্যা নয়, প্রতিবন্ধকতাও। দুরন্ত ফিটনেসের কারণে ১২০ মিনিট হয়তো টেনে দিতে পারছেন, কিন্তু পাঁচ-ছ’বছর আগের রোনাল্ডোকে পাওয়ার প্রত্যাশা অমূলক। দেওয়াল লিখনটা পড়তে পারছেন তিনি। তাই ম্যাচ শেষে রোনাল্ডো জানিয়ে দিলেন, ‘এটাই আমার শেষ ইউরো। সমর্থকদের ভালোবাসায় আপ্লুত।’