শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, আন্ডারপাসে জল জমছে। সেখানে পাম্প বসিয়ে জল বের করার কথা। নইলে ভারী বৃষ্টিতে সমস্যা হবে। কিন্তু সেটা এখনও করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রেলগেট বন্ধ করা হলে মানুষের ভোগান্তি হবে। এবিষয়ে ডিআরএমের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, লোকাল অথরিটির সঙ্গে কথা বলবেন।
মুরারইয়ের মাঝ দিয়ে গিয়েছে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইন। উত্তরবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম রুট এটি। প্রচুর প্যাসেঞ্জার ও মালগাড়ি এই রুট দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে দিনের অনেকটা সময় রেলগেট বন্ধ থাকায় দু’দিকেই সাইকেল ভ্যান, মোটরবাইক দাঁড়িয়ে পড়ে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। ২০২২সালের ডিসেম্বর মাসে মুরারই স্টেশনের কাছে আন্ডারপাস তৈরির বিষয়ে রেল সম্মতি দেয়। সেইমতো দু’বছর আগে কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি আন্ডারপাস তৈরি শেষ হয়েছে। তাতে ১৭.৫ ফুটের দু’টি লেন করা হয়েছে। দু’টি লেন দিয়ে পাশাপাশি দু’টি লরি আপডাউন করতে পারবে। কিন্তু আন্ডারপাসে জল জমে থাকছে।
বুধবার গভীর রাতে সেই আন্ডারপাস খুলে দিতে আসেন রেল কর্তারা। তার আগে তাঁরা লেভেল ক্রসিং বন্ধ করতে চান। খবর পেয়ে স্থানীয়রা সেখানে ভিড় জমান। তাঁরা বলতে থাকেন, আন্ডারপাসে জল জমে আছে। ভারী বৃষ্টি হলে পুরো ডুবে যাবে। এখনই রেলগেট পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে বিকল্প পথ থাকবে না। তাছাড়া, বড় গাড়ি ঠিকমতো যেতে পারবে কিনা-তার ট্রায়াল দরকার। সেজন্য তাঁরা কয়েকদিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে আন্ডারপাস চালুর দাবি জানান। রেলকর্তারা এই দাবি মানতে চাননি।
খবর পেয়ে বিধায়কের দুই প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে আসেন। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আসেন মুরারইয়ের বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী। তাঁরাও রেলকর্তাদের একই কথা বলেন। কিন্তু রেলকর্তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। তাঁরা আগে রেলগেট বন্ধ করতে চান। শেষমেষ কোনও সুরাহা না হওয়ায় তাঁরা ফিরে যান।