শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে মুড়াকাটা সমবায় সমিতির তরফে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করা হয়। নির্দেশিকা অনুসারে ২ ও ৩ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়। এরপর ৪ ও ৬ জানুয়ারি মনোনয়ন দাখিল করার নির্ধারিত দিন ছিল। ৭ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি করা হয়। ৮জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তবে বিরোধীদের তরফে কোনও মনোনয়নপত্র জমা করা হয়নি। ১৯জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা থাকলেও আগেই জয়ী হয় তৃণমূল। ১মার্চ নিয়ম মেনে পরিচালকমণ্ডলীর নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই সমবায় সমিতিতে ন’জনকে ডিরেক্টর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই আছে। তাই এই ফলাফল। সিপিএমের অত্যাচার আজও মানুষ ভুলতে পারেনি। আর বিজেপি তো বহু বছর ধরে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে। কী করেছে সাধারণ মানুষের জন্য? জেলার কোনও সমবায় সমিতির ভোটে বিরোধী শিবির জিততে পারবে না। ওরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিতে জানে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবে না।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০বছর আগে এই সমবায় সমিতি তৈরি হয়। এই সমবায়ের মাধ্যমে চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন। তবে শুরুর দিকে সমবায় সমিতিটি ছোট একটি ঘর থেকে পরিচালিত হতো। ২০১২সালের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বর্তমানে সমবায় সমিতির তরফে কৃষি ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়া হয়। এছাড়া সমবায় সমিতিতে ২টি ধান কাটার মেশিন আছে। যার সাহায্যে উপকৃত হন চাষিরা। পাশাপাশি সমবায় সমিতির তরফে চাষিদের ন্যায্য মূল্যে সার দেওয়া হয়। প্রথম দিকে এই সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫০। বর্তমানে সেই সংখ্যা ১৩০০ ছাড়িয়েছে। সমবায় সমিতির বড় অফিস তৈরি হয়েছে। এমনকী সমিতির তরফে রেশন সরবরাহের কাজও করা হয়।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের(এ) সভাপতি গৌতম দত্ত বলেন, বিরোধী শিবির ভোটে শুধু টাকা খরচ করতে জানে। মানুষের কথা বলে একমাত্র তৃণমূল। আজ প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। আগামী দিনে এই সমবায় সমিতি থেকেও মানুষ নানাভাবে উপকৃত হবেন। এনিয়ে জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, তৃণমূলের আমলে ভোট হয় না। মানুষকে ভয় দেখিয়ে সমবায় সমিতির ভোট হয়। এর যোগ্য জবাব দেবে সাধারণ মানুষ।-নিজস্ব চিত্র