কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
সৈকতবাবু বলেন, একবার আমাদের একজন সিকিউরিটি অফিসারের পেটের অসুখ হয়েছিল। তিনি কেমন আছেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন তাঁর খোঁজ নিয়েছিলেন। শুধু নিরাপত্তা কর্মীই নয়, ছোট, বড় সব স্তরের কর্মীর সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করতেন। তাঁর স্ত্রী এবং তিন মেয়ের মধ্যেও কোনও অহঙ্কার দেখিনি। বৃহস্পতিবার রাতে দুঃসংবাদ শুনে খুবই খারাপ লাগছে।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যে কতটা কাজের মানুষ ছিলেন, তাও জানিয়েছেন সৈকতবাবু। তিনি বলেন, অধিক রাত পর্যন্ত তিনি অফিসে কাজ করতেন। কম কথা বলতেন। নীরবে নিজের কাজটা করতেন। এছাড়াও তাঁর মধ্যে সময়ানুবর্তিতা লক্ষ্য করেছি। কোথাও যাওয়ার থাকলে ১৫মিনিট আগেই তৈরি হয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় চলে আসতেন। কখনও তাঁর আসার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়নি।
১২ বছরে তিনজন প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা বলয়ের দায়িত্ব সামলেছেন সৈকতবাবু। ২০০৩ সালে তিনি এসপিজিতে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয়ে একাধিক স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে কাছের যে বলয় তার নাম ক্লোজড প্রোটেকশন টিম। তাতে ১২জন জওয়ান থাকেন। তাতে সৈকতবাবু ডাক পান। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ি। পরবর্তীতে মনমোহন সিং এবং তারপর নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হন। তবে সিপিটিতে ১২বছর সম্পূর্ণ হওয়ায় ২০১৪সালে তাঁকে পুনরায় বিএসএফে ফিরে যেতে হয়। মনমোহন সিংয়ের ১০ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে খুব কাছ থেকেই তাঁকে দেখেছেন সৈকতবাবু। তিনি বলেন, চার পাঁচ ঘণ্টার বেশি উনি ঘুমাতেন না। মর্নিংওয়ার্কে বেরনোর সময় আমরা জয়হিন্দ বললে উনিও প্রত্যুত্তরে জয়হিন্দ বলতেন। উনি আমাদের কথার গুরুত্ব বুঝতেন। একবার উনি বিদেশ থেকে ফেরার সময় একজন সাংসদের মৃত্যুর খবর আসে। তিনি এয়ারপোর্টে নামার পর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর জন্য তাঁর বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী কোথাও গেলে সেই জায়গার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে অন্তত দু’ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। সেকথা তাঁকে বোঝানো হয়েছিল। তিনি তা মেনেছিলেন এবং ওই যাত্রা বাতিল করেছিলেন।
সৈকতবাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলয়ের একজন নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে অটলজির আমলে দেড় বছর, মনমোহন সিংয়ের ১০বছর এবং নরেন্দ্র মোদির আমলে সাতমাস কাটিয়েছি। সেই সূত্রে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মনমোহন সিংয়ের মতো মাটির মানুষ আমি দেখিনি।