কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের দু’টি স্কুলের ৩০জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। সিএমএস স্কুলের ২৮জন পড়ুয়ার টাকা অন্যজনের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় বলেন, এই প্রকল্পে টাকা পাঠানোর জন্য পড়ুয়াদের নাম এবং ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিতে হয়। সেইমতোই তা দেওয়া হয়েছিল। কয়েকদিন আগে ২৮জন পড়ুয়া জানায়, তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। পোর্টাল থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের পাঠানো টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। আমরা সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, সাইবার থানা তদন্ত করছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, পূর্ব বর্ধমানের পড়ুয়াদের টাকা উত্তর দিনাজপুর, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকজনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সেই টাকা তারা তুলে নিয়েছে। প্রতারকরা অনেক জেলাতেই এধরনের প্রতারণা করেছে। এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে। কতজন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি, তা স্কুল কর্তৃপক্ষ সবটা জানতে পারেনি। স্কুল খোলার পর এধরনের অভিযোগ আরও সামনে আসবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পুজোর ছুটির আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের শুরু করার পর থেকেই টাকা ঢুকতে শুরু করে। সাইবার প্রতারকরা বেশিকিছু পড়ুয়ার টাকা হাতিয়েছে। কিছু ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি ঠিক না থাকার জন্যও টাকা ঢুকছে না। তথ্য ঠিক করার পরই তারা টাকা পাবে। পুলিসের আর এক আধিকারিক বলেন, সাইবার প্রতারকরা সারা রাজ্যজুড়েই জাল ছড়িয়ে রেখেছে। সাধারণত একজন পড়ুয়ার একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর পোর্টালে আপলোড হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রতারকরা পোর্টাল হ্যাক করে ওই সমস্ত ছাত্রছাত্রীর নামের সঙ্গে অন্য আরেকটি অ্যাকাউন্ট নম্বর আপলোড করেছে। পুলিস এখনও পর্যন্ত তদন্তে নেমে এই ঘটনার কিনারা করতে পারেনি।