কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
প্রায় বেশ কিছুদিন দলছুট হাতির বিক্ষিপ্ত তাণ্ডব অব্যাহত থাকলে ঝাড়গ্রাম ডিভিশন এলাকায় দলবদ্ধ হাতির তাণ্ডব বন্ধ ছিল। বুধবার সকালে ৩০টি হাতির দল ঢোকায় সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করছেন বাসিন্দারা।
জামবনী ব্লকের লালবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঘাখোন্দর জঙ্গলটি একেবারে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া সামনে অবস্থিত। এখানে হাতির দল এলে বেশ কয়েকদিন ঘাপটি মেরে থেকে যায় বলে দাবি বাসিন্দাদের। ফলে গিধনী রেঞ্জের আমতলিয়া বিটের এই জঙ্গল লাগোয়া চাঁন্দুয়া, জোকা, বড়রাজগ্রাম, দৈচাঁখুরিয়া, কদমাশোল, টাঙ্গাশোল, পলাশবনী, আমতলিয়া সহ ১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বনদপ্তর। সেই সঙ্গে বাঘাখোন্দর জঙ্গল লাগোয়া হাতির যাতায়াতের বেশ কয়েকটি রাস্তায় মানুষদের সাবধানে যাতায়াতে করতে বলা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের বিভিন্ন রেঞ্জ এলাকায় মোট ৮০টি হাতি অবস্থান করছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০টি হাতির দলটি রয়েছে এই বাঘাখোন্দরের জঙ্গলে। বাকি হাতিগুলির মধ্যে ঝাড়গ্রাম রেঞ্জ এলাকায় ১৮টি, লোধাশুলি রেঞ্জ এলাকায় ২৩টি হাতি রয়েছে। জামবনীর চাষি তুষার মাহাত বলেন, এখন জমিতে ধানের ছোট চারা রয়েছে। হাতি খেয়ে ও মাড়িয়ে নষ্ট করে দেবে। কেন না মাঠে অন্য কোনও সব্জি বা ফসল নেই। খাবারের সন্ধানে তারা গ্রামে ঢুকে বাড়িতেও তাণ্ডব চালাতে পারে। আমরা সেই আশঙ্কা করছি। হাতির প্রবেশ রুখতে ঝাড়খণ্ড সরকার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে দশ ফুট চওড়া ও দশ ফুট লম্বা গর্ত কেটেছে। আমাদের জঙ্গলমহল এলাকাতেও সেই ব্যবস্থা করলে গ্রামবাসীরা নিস্তার পাবে। লালবাঁধের বাসিন্দা প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক মন্মথনাথ মাহাত বলেন, বেশ কয়েক বছর হল আমাদের এলাকা হাতির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। আমাদের পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতে কাঁঠাল খেয়ে হাতি ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ওঠে অন্যত্র চলে যায়। এরপর আমাদের এলাকাতেও সেরকম অবস্থা হবে। এই নিয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, এগুলিকে ‘ক্র্যাঞ্চ’ বলা হয়। এই ধরনের গর্ত অতিক্রম করে হাতি যেতে পারে না। ২০১৯-’২০ সালে ভুলাভেদা রেঞ্জের কাঁকড়াঝোড়ে হাতি আটকানোর জন্য এরকম ‘ক্রাঞ্চ’ তৈরি করা হয়েছিল। তাতে কোনও লাভ হয়নি। হাতি তাদের পুরনো গতিপথ বদল করেছে। ফলে তিনটি রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় এখন হাতির ফ্রি মুভমেন্ট করা আমাদের লক্ষ্য। ক্রাঞ্চ তৈরি করার পরিকল্পনা এখন নেই।