কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
জানা যায়, পানাগড় গ্রামের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জল নিকাশি নালা রয়েছে এলাকায়। গ্রামের জল এই নালা দিয়ে বয়ে গিয়ে প্রধান নালার সঙ্গে সংযুক্ত হয়। তারপর ডিভিসির ক্যানেলে পড়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে নালার উপর চাপ বাড়লেও নালার আয়তনে কোনও সংস্কার করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা বাদল শেখ, প্রভাস লোহার, ফিরোজ খানরা বলেন, নিকাশি নালার বেহাল দশার কারণে গোটা পাড়া জলমগ্ন হয়ে পড়ে। দুর্দশার কথা জানিয়ে ২০২২ সালে কাঁকসা বিডিওকে গণস্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন পত্র জমা করা হয়। আবেদনপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একটি রূপকল্প জমা দেওয়ার কথা বলেন। সেই মোতাবেক রূপকল্পটি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, গত পঞ্চায়েতের প্রধান জানিয়েছিলেন, নালাটি সংস্কারের জন্য ২০২৩-২৪ সালে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এতদিন ধরে সেই অর্থ কেন কাজে লাগানো গেল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জানা যায়, এই পাড়ার পাশে গ্রামের উত্তর অংশে এলাকার জল নিকাশির জন্য রয়েছে নিকাশি নালা। সেটিই এখন প্রধান নিকাশি নালায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার না হওয়ার ফলে বৃষ্টি হলে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই বাড়ি ঘরের নীচের অংশ ডুবে যায়। বহু জিনিস নষ্ট হয়। এলাকার অনেকেই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। বাড়িতে জল ঢুকে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায়।
পানাগড় নাগরিক মঞ্চের পক্ষে প্রকাশ দাস বলেন, বেহাল নিকাশি নালার জন্য একটু বৃষ্টিতেই এই এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থার জন্য একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বর্ষা আসছে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, গ্রামসভার মাধ্যমে এলাকার সমস্যা সমাধানের কথা পঞ্চায়েতের। কিন্তু এখানে সমাধানের বদলে নেতাদের কাটমানি খাওয়ার দিকে নজর। মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। তবে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। জল-যন্ত্রণার খণ্ডচিত্র। নিজস্ব চিত্র