কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত রমেশ এবং সিন্ধু এই কারবারের মূল পান্ডা। অভিনব কায়দায় টোটো চুরি করত তারা। একটি টোটো করে চেপে বেলডাঙা থেকে তারা বহরমপুরে চলে আসত। তারপর হাসপাতালের পার্কিংয়ের ভিতরে নিজেদের টোটো রেখে দিয়ে অন্যদের টোটো চুরি করে চালিয়ে নিয়ে চলে যেত। যে টোটো চুরি করত, সে আগে টোটো নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে অপরজনকে ফোনে জানিয়ে দিত। সে তখন তাদের পার্কিংয়ে থাকা টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ত। এভাবেই সকাল, দুপুর এবং সন্ধ্যায় টোটো চুরি করে বেড়াত এই দুই টোটো চোর। চুরি করা টোটো বালিরঘাট এলাকায় সাজিজুলের কাছে বিক্রি করত তারা। সাজিজুল এবং তার দোকানের কর্মী কাওসার এই কারবারে যুক্ত বলেই পুলিস জানিয়েছে।
বহরমপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিক সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, যখন প্রথমে দুই অভিযুক্তকে ধরেছিলাম, ওরা বলেছিল মেডিক্যালে রোগী নিয়ে এসেছি। কারও কিছু সন্দেহ হলে ওরা এই বলে পার পেয়ে যেত। একটি টোটো চালিয়ে আসত এবং চুরি করে দু’টি আলাদা টোটো করে চলে যেত। এরা নিজেদের এলাকায় খুব একটা চুরি করত না। গত কয়েকদিনে বহরমপুর থেকেই চারটি টোটো চুরি করেছে। সেগুলি সহ আমরা চুরি যাওয়া মোট ছয়টি টোটো উদ্ধার করেছি। সমস্ত টোটো বালির ঘাটের একটি দোকান থেকে উদ্ধার হয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক একটি টোটো ২০-২৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি হতো। মূল অভিযুক্তকে পুলিস হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র