কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, চাষিদের অভিযোগের বিষয়টি ইতিমধ্যে ব্লক লেভেল মনিটরিং কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষিদের ক্ষতিপূরণ পুনর্বিবেচনার জন্য কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, খরিফ মরশুমে চাষিদের বিমার টাকা রাজ্য সরকার বহন করে। তবে রবি মরশুমে আলুর ক্ষেত্রে শতকে ৩৯ টাকা করে প্রিমিয়াম দিতে হয়। তালডাংরা ব্লকের মধ্যে পূর্ব অংশে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। গত মরশুমের শুরুতে বৃষ্টির কারণে আলু গাছ নষ্ট হয়েছিল। অনেককেই দ্বিতীয়বার আলু লাগাতে হয়েছিল। কিন্তু বিমা সংস্থা তার সার্ভে না করে গত বছরের তুলনায় এবারে আলু উৎপাদন কতটা কম হয়েছে সেই হিসেবে ক্ষতিপূরণ নির্দিষ্ট করেছে। তাতে অনেক চাষিই বঞ্চিত হয়েছে। জুন মাসের শেষের দিকে তালডাংরা ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষিদের অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকেছে। সেই খবর পেয়ে বাকি ৬টি পঞ্চায়েতের চাষিরা আশায় ছিলেন। হয়তো তাঁরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু না পাওয়ায় তাঁরা কৃষিদপ্তরে গিয়ে জানতে পারেন যে, সংস্থার স্যাটেলাইট সমীক্ষায় ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা থেকে তাঁরা বাদ পড়েছেন। তাতে তাঁরা বেজায় ক্ষুব্ধ হন। দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বিমা সংস্থা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের এলাকা ঠিক করে। তাতে তালডাংরা ব্লকের হাড়মাসড়া, খালগ্রাম ও তালডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতকে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওই এলাকার চাষিদের ২১ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আবার তালডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতে মাত্র তিন শতাংশ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বাকি আমডাংরা, সাতমৌলি, শালতোড়া, পাঁচমুড়া, ফুলমতি এবং বিবড়দা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ওই ছয় পঞ্চায়েতের চাষিরা ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
চাষিদের একাংশ বলেন, বিমা সংস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে যেখানে আলু চাষ কম হয় সেই সব এলাকাকে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর যেখানে আলু চাষ বেশি হয় সেই এলাকাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নিজেদের মুনাফার লক্ষ্যেই তারা এরকম কাজ করেছে। সাবড়াকোন এলাকার চাষি সুকুমার ঘোষ বলেন, আমি আলু চাষে বিমা করেছিলাম। আলু লাগানোর পরে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় সব পচে গিয়েছিল। তাই প্রায় অর্ধেক জমি ভাঙিয়ে দ্বিতীয়বার লাগাতে হয়েছিল। তাতে বিঘাপ্রতি খরচ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিমার টাকা পেলাম না। আমাদের এলাকা তুলনামূলক নিচু। তাই বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। কিন্তু আমাদেরই বঞ্চিত করা হয়েছে।