কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
সাধারণত বৃষ্টির জলে চাষিরা পাট বীজ বপন করেন। কিন্তু এবার সেই বৃষ্টি না হওয়ায় সেচের জলে বীজ বুনেছে। এখন জল এবং সার দেওয়া দরকার। বৃষ্টি না হওয়ায় পাটের বৃদ্ধি হচ্ছে না। থানারপাড়ার চাষি রতন বিশ্বাস জানান, বিগত কয়েক বছরে পাট কিংবা সব্জি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে অনেক বেশি টাকা খরচ করে শ্যালো মেশিনে সেচ দিতে সমস্যায় পড়ছেন সবাই। জলাশয়ে জল না থাকলে পাট জাঁক দেওয়ার জন্য চাষিদের বাধ্য হয়ে আগের বছরের মতো পাম্প সেট চালিয়ে জমিতে ত্রিপল বিছিয়ে মাটির বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম অস্থায়ী জলাশয় তৈরি করতে হবে। তাতেও প্রচুর টাকা দরকার হয়। করিমপুরের আর এক পাট চাষি নৃপেন মণ্ডল বলেন, এখন মাঠে পাট ছাড়াও নানা রকমের সব্জি চাষ রয়েছে। দীর্ঘদিন পরে এখন বৃষ্টি হলে ফসলের সঙ্গে সঙ্গে চাষিরাও বাঁচবেন। গত এক মাসে কয়েকবার বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের কোথাও কোথাও হলেও এখানে বৃষ্টি হয়নি। এখন বৃষ্টি হলে মাঠের সব ফসলের উপকার হবে। এক বিঘা জমিতে শ্রমিক দিয়ে পাট চাষ করতে চাষির প্রায় বারো থেকে চোদ্দো হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ উৎপাদন ও পাটের মান খারাপ হলে পাট বিক্রি করে চাষির লাভ তো দূরের কথা, চাষের খরচের টাকাই ঘরে ফিরবে না।
এব্যাপারে এক কৃষি আধিকারিক জানান, কৃষি নির্ভর এলাকায় ব্যাপকভাবে পাট, পান, কলা ও সব্জি চাষ হয়। এখন জেলার প্রায় ত্রিশ শতাংশ জমিতে পাট চাষ হয়। পাট চাষে প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হলে পাটের উৎপাদন ও পাটের মান ভালো হয় না। এবারে পাটের মরশুমে বৃষ্টির ঘাটতির কারণে পাট চাষে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এবছর বৃষ্টির অভাবে ফসলের ক্ষতি যেমন হবে, তেমনি উৎপাদন ব্যাহত হবে। যত তাড়াতাড়ি বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে, ততই মঙ্গল। নাহলে চাষিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। প্রতীকী চিত্র