কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
গত প্রায় ৩০ বছর ধরে শান্তিপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীর পদে রয়েছেন সনৎবাবু। তিনি জেলা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ছাড়াও রাজ্যের পুর কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদকও। পুরসভার কাজে দিনের পর দিন না গিয়েও সই করে বেতনের টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার সরব হন শান্তিপুরের বাসিন্দা মৃণাল মৈত্র। এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। মৃণালবাবু বলেন, শ্রমিক সংগঠনের ওই নেতা প্রোমোটারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেখান থেকে প্রচুর টাকা নয়ছয় করছেন তিনি। পুরসভার কর্মচারী হিসেবেও মাসের শেষে নির্দিষ্ট দিনে দপ্তরে গিয়ে বেতন তুলে নিচ্ছেন। পুরসভা সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয় না। শান্তিপুরের ওই বাসিন্দা জানান, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী দল ও প্রশাসন নির্বিশেষে দুর্নীতিমুক্ত করতে সরব হয়েছেন। তাই দিনের পর দিন ঘটে চলা শ্রমিক সংগঠনের এই নেতার কীর্তি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আসা প্রয়োজন।
অভিযোগ অস্বীকার করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে বলে পাল্টা সরব হয়েছেন সনৎবাবু। তিনি বলেন, যিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন তিনি বিজেপির মদতপুষ্ট। আমি শ্রমিক সংগঠনের রাজ্যস্তরের পদে রয়েছি, তাই সাংগঠনিক কাজের জন্যই বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী কিছু বিশেষ ছুটি পাই। পুরসভার কাছে অনুমতি নিয়েই আমাকে সেই কাজে যেতে হয়। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের জন্যও এই ছুটি পাওনা রয়েছে। তাই এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের কোনও মানে হয় না। যদিও শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থে পুরসভার প্রত্যেক কর্মচারীকে সমানভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এক্ষেত্রে কারও বিশেষ ছুটি পাওয়ার এক্তিয়ার নেই। যদি কেউ এমনটা করে থাকেন তাহলে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
সিপিএম নেতা সৌমেন মাহাত বলেন, ১৫বছর শান্তিপুর পুরসভার কাউন্সিলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। একদিনের জন্যেও সনৎ চক্রবর্তীকে পুরসভায় দেখতে পাইনি। উনি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন। কেউ দেখেও দেখে না। বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র সোমনাথ কর বলেন, গোটা শান্তিপুর পুরসভাই দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। পানীয় জল, রাস্তাঘাট সবকিছু নিয়ে সাধারণ মানুষ তিতিবিরক্ত। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে এখন। জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী।