কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
বুধবার সকাল ১১টার পর শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বুড়ারিহাটে একটি গেস্ট হাউসে আসেন দিলীপবাবু। সেখানে পার্টির প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র মাইতি, মহিলা মোর্চার নেত্রী শুভ্রা দাস, গোবিন্দ সাউ, দেবদাস মাইতি, শিবু প্রামাণিক সহ আরও অনেকে উপস্থিত হন। ওই সভায় হাজির হওয়া নেতানেত্রীরা প্রায় সকলে এই মুহূর্তে কোণঠাসা। জেলা সভাপতির ব্যাটন তাপসী মণ্ডলের হাতে চলে যাওয়ার পর তাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। লোকসভা ভোটেও তাঁদের বেশিরভাগ কোনও দায়িত্ব পাননি। মনের মধ্যে হতাশা ও অভিমান জমছে। এই অবস্থায় তাঁরা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মুখোমুখি বসার ইচ্ছপ্রকাশ করেছিলেন। সেই সুবাদে বুধবারের বৈঠকের আয়োজন। তবে, বন্ধ ঘরে সেই বৈঠক হয়েছে। সেখানে আলোচ্য বিষয় নিয়ে উপস্থিত নেতারা মুখ খুলতে নারাজ।
দিলীপ ঘোষ পুরনো দিনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করার কয়েক ঘণ্টা পর শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী সঙ্গীতা আদক মাইতি টাকার বিনিময়ে পাম্প অপারেটর নিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ। জল জীবন মিশন প্রকল্পে ‘নল জল মিত্র’ বাছাইয়ের কাজেও তিনি প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করছেন না বলে দলের অভিযোগ। এনিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতিতেও কোনও আলোচনা হচ্ছে না বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। এইসব অভিযোগকে সামনে রেখে দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁজ তুলল বিজেপি।
২০২০ সালের আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যাঁরা বিজেপির মুখ ছিলেন, এই মুহূর্তে তাঁদের অনেকেই দলে উপেক্ষিত। পার্টির কর্মসূচিতে তাঁরা ডাক পান না। তমলুক এবং কাঁথি দুই সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রদবদলের পর পুরনো দিনের নেতা-কর্মীরা পিছনের সারিতে চলে গিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন পুরনো দিনের ওই নেতারা সামনের সারির যোদ্ধা ছিলেন। আর এখন তাঁরাই দলে উপেক্ষিত। তাই দিলীপ ঘোষকে সামনে রেখে তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন। প্রাক্তন সাংসদ তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দিলেন। তবে, বুড়ারিহাটে ওই বৈঠকের পর দিলীপ ঘোষ সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি।