কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
অভিযুক্তদের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, আমাদের আর্জি মেনে বিচারক পাঁচ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছেন। নতুন করে চার্জশিট জমা হওয়ার পর সব কপি অভিযুক্তর আইনজীবীদের দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই এদিন চার্জগঠন সম্ভব হয়নি। ৯আগস্ট ফের চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে কয়লা পাচারের মামলা চলছে। সিবিআই প্রথমে ৪১জনের নামে চার্জশিট জমা করে। সেখানে অনুপ মাজি, বিনয় মিশ্র ছাড়াও আসানসোল- জামুড়িয়া শিল্পাঞ্চলের বহু কারখানা মালিকের নাম ছিল। পরে প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে আরও দু’জনের নাম দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন মামলা নিয়ে সিবিআই কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী মামলার ট্রায়াল শুরু করতে উদ্যোগী হন। তারপরই সিবিআই একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা শুরু করে। তবুও বিচারক এদিন ৪৩জনের চার্জ গঠন হবে বলে ঠিক করেছিলেন। শিল্পাঞ্চলের তাবড় কয়লা কারবারি ও কোম্পানির শীর্ষকর্তারা অভিযুক্ত হিসেবে মামলার চার্জগঠনের জন্য হাজির হন। কিন্তু তারমধ্যেই জানা যায়, সিবিআই আরও একটি চার্জশিট জমা করেছে। সেখানে এফআইআরে প্রথম নাম থাকা ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিতকুমার ধর, বর্তমান জিএম নরেশ সাহা সহ সাতজনের নামে চার্জশিট দিয়েছে। তারমধ্যে পাঁচজন এই মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছে। আরও দুই অভিযুক্ত মহম্মদ শাকিল ও তারকেশ্বর রায়কে পলাতক দাবি করে সিবিআই। এদিন বিচারকের কাছে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন জানায় সিবিআই। বিচারক জানতে চান, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিবিআই জানায়, তাঁদের নোটিস দিয়ে ডাকা হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হননি। বিচারক প্রশ্ন করেন অভিযুক্ত হিসেবে নোটিস করেছিলেন, সিবিআই জানায় ‘না’। বিচারক জানান, তাহলে তাঁরা জানেনই না অভিযুক্ত বলে। এরপরই বিচারক অভিযুক্তদের সমন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৭জুলাইয়ের মধ্যে তাঁদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন সিবিআই বিনয় মিশ্রর অবস্থান জানতে চান। সিবিআই একটি রিপোর্ট জমা করে জানায়, তাঁকে আদালতে হাজির করাতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। যদিও আপাতত এই মামলার এফআইআরে দ্বিতীয় অভিযুক্ত ইসিএলের জিএম জেসি রায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ নেই বলেই সিবিআই জানিয়েছে।