কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
বছর ছয়েক আগে খড়গ্রাম থানার জটারপুরের বাসিন্দা তুহিনা বেগমের সঙ্গে চাটরার বাসিন্দা আমিরুল শেখের বিয়ে হয়। দম্পতির চার বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। মৃতার মা রেহেনা বিবি বলেন, জামাই অন্য মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিল। মেয়ে বাধা দিয়েও তাকে বাগে আনতে পারেনি। এই নিয়ে সংসারে অশান্তি হতো। রেহেনা বিবির অভিযোগ, সৌদি আরব থেকে জামাই মেয়েকে খারাপ খারাপ কথা বলত। ভিডিও কল করে মেয়েকে নোংরা কাজ করতে বলত। মেয়ে এসব মেনে নিতে পারত না।
দেড় বছর আগে সৌদি আরবে যায় আমিরুল। অভিযোগ তার আগে গ্রামেরই অন্য এক মহিলার সঙ্গে সে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। সে কথা জানতে পারেন তুহিনা। এই নিয়ে প্রায় রোজ অশান্তি হতো। গত মঙ্গলবার মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাজার থেকে নতুন ব্লেড ও ঘাসমারা কীটনাশক কিনে আনেন তুহিনা। বাড়ি ফিরে স্বামীকে ভিডিও কল করে প্রথমে ব্লেড দিয়ে নিজের হাতের শিরা কাটেন। তাতেও ওপ্রান্ত থেকে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া আসেনি। এতে তিনি আরও ভেঙে পড়েন। এরপর গ্লাসে কীটনাশক ঢেলে এক নিঃশ্বাসে খেয়ে ফেলে নেতিয়ে পড়েন। সৌদি আরব থেকে সবটাই ভিডিওতে দেখে আমিরুল। এরপর সে তার বাবাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরিবারের লোকজন তুহিনাকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’দিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগেই মৃত্যু হয় তুহিনার। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের আগেই উভয়পক্ষ গ্রাম্য সালিশি সভা ডেকে বিষয়টি মিটমাট করে নিয়েছে বলে দুই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।
মৃতার শ্বশুর আজাদ শেখ বলেন, ছেলে ও বউমা আলাদা বাড়ি তৈরি করে থাকত। ঝগড়া হতো। তবে কী কারণে, সেটা জানি না। বউমা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে বলেছিল ছেলেকে ভয় দেখাতে গিয়েই এই কাজ করেছে। নিজে আফশোসও করেছে।