কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নেশা করে এসে মাকে প্রায় দিনই কু-কথা শোনাত কৃষ্ণ। বাদ যেতেন না তাঁর স্ত্রীও। মাঝেমধ্যে স্ত্রীকে মারধর করত সে। তাকে নিয়ে রীতিমতো তটস্থ থাকত গোটা পরিবার। ক্ষেতমজুরি করে যেটুকু রোজগার করত, সবটাই নেশার পিছনে উড়িয়ে দিত কৃষ্ণ। মঙ্গলবার রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরে এসেই মায়ের সঙ্গে বচসা বাধে কৃষ্ণর। তার বাবা কোনওরকমে সামাল দিয়ে ছেলেকে নিয়ে পাশের ঘরে শুয়েছিলেন। মা তাদের পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর রাতে বাবা যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন বিছানা ছেড়ে উঠে পাশের ঘরে যায় কৃষ্ণ। মাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করে। তারপর দেহ চাদর দিয়ে ঢেকে পালিয়ে যায়। পাশের ঘরে শুয়ে থেকেও ঘটনাটি টের পাননি তার বাবা। সকালে স্ত্রীকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, ঘরে মোমবাতি জ্বলছে। চাদর সরাতেই রক্তাক্ত দেহ দেখে আঁতকে ওঠেন তিনি। পুলিস দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে।
মৃতার স্বামী বীরেন মাঝি বলেন, ছেলে বাড়িতে এসে প্রায়দিনই ঝামেলা করত। মঙ্গলবার রাতেও মায়ের সঙ্গে প্রচণ্ড গণ্ডগোল হয়। রাগের মাথায় যাতে কিছু না করে বসে, তাই ওকে সঙ্গে নিয়ে আমি শুয়েছিলাম। রাতে ছেলে ঘুমিয়েও পড়েছিল। মাঝ রাতে আমি যখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তখন আমার পাশ থেকে উঠে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমার মনে হয়। ছেলের কড়া শাস্তি চাই।
অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী সঞ্চিতা মাঝি বলেন, আমার স্বামী ওর মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন অশান্তি করত। আমাকেও মারধর করত। আমি মুখ বুজে সব সহ্য করতাম। ভেবেছিলাম, হয়তো শুধরে যাবে। প্রায়ই নেশা করে এসে বাড়িতে অত্যাচার চালাত। আমি কিছু বলতে গেলেই বলত, ওর মায়ের জন্য নাকি আমাদের সংসার নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমার শাশুড়ি খুব ভালো ছিলেন। আমাদের সংসার উনিই সামলে রাখতেন। মঙ্গলবার আমি বাপের বাড়িতে ছিলাম। সেই সময় রাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি জানতে পারি। আমরা ওর ফাঁসি চাইছি।