বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জেতা ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন ইউসুফ। ইউসুফের দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা থাকলেও, রাজনীতির ময়দানে তিনি একেবারে আনকোরা। একই অবস্থা বিজেপির চিকিৎসক প্রার্থীর। নির্মলবাবু শিক্ষাগত যোগ্যতায় অন্যদের থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে। অধীর চৌধুরী নবম শ্রেণি পাস, ইউসুফ একাদশ শ্রেণি পাস করেছেন। সেখানে চিকিৎসক নির্মলবাবু নির্বাচনী হলফনামায় একের পর এক ডিগ্রির উল্লেখ করেছেন। তবে নিজের পেশায় নামডাক থাকলেও, রাজনীতিতে তাঁর হাতখড়ি এই নির্বাচনে। সেখানে দীর্ঘ প্রায় চার দশক ধরে রাজনীতির আঙিনায় থাকা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মানুষের জনসংযোগ অনেক বেশি। তাঁর নামে মামলার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। পাঁচটি ফৌজদারি মামলায় তাঁর নাম আছে। বাকি দুই প্রার্থীর নামে কোনও মামলা নেই। বহরমপুর কেন্দ্রটি হাতের তালুর মতো চেনেন অধীরবাবু। তবে এবার ভোটে তাঁকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন নিজ ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা এই দুই প্রার্থী।
বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার (ডেভিড) বলেন, তিনজন প্রার্থী যে যাঁর ক্ষেত্রে কাজ করেন। জনপ্রিয়তা রাজনীতির মূল চাবিকাঠি। জনপ্রিয়তায় শীর্ষে আছেন আমাদের প্রার্থী। ইউসুফ পাঠানের ২৭ কোটি ফ্যান ফলোয়ার আছে। ইউসুফের জয় হবে, সেটা নিশ্চিত। অপরদিকে যাঁর নিজের উপর কনফিডেন্স থাকে না, তার নামে তো মামলা বেশি থাকবেই।
বহরমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, অধীর চৌধুরী সব দিক থেকেই এগিয়ে। উন্নয়ন, জনসংযোগ ও মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি অন্যান্যদের থেকে অনেকগুণ এগিয়ে। অধীর চৌধুরী বারবার জিতেছেন মানুষের দোয়া ও আশীর্বাদে। ষষ্ঠবারের জন্য তিনি জিতে ডবল হ্যাটট্রিক করবেন। বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, মানুষ বিচার করবে যে কাকে তারা ভোট দেবে? একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক, যিনি দিনের পর দিন দূরারোগ্য ব্যাধি নির্মূল করেছেন।
মানুষের অপারেশন করে সুস্থ করে তুলেছেন, তাঁকে ভোট দেবেন? নাকি, একাধিক মামলায় যুক্ত থাকা অধীর চৌধুরীকে ভোট দেবেন? নাকি ক্রিকেট খেলতে খেলতে চলে আসা গুজরাতি ইউসুফকে মনোনীত করবেন? আমাদের নির্বাচনী প্রচারে মানুষের যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি তাতে নির্মলবাবুরই জয় নিশ্চিত। নিজস্ব চিত্র