বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিজেপি বিধায়ক সুশান্তবাবু তাঁর কার্যকলাপের জন্য বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছেন। সপ্তাহখানেক আগে রাজহাটি-২ পঞ্চায়েত এলাকার এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীর তরফে এনিয়ে থানায় অভিযোগও করা হয়। এবার তিনি খানাকুল বিধানসভার কনভেনর নির্মলবাবুর বিরুদ্ধেই নেতা-কর্মীদের প্রচারে বাধা দেওয়া এবং পিকের টিমের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। রাজনৈতিক মহলে যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নির্মলবাবু অবশ্য বিধায়কের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগে বিজেপির ২৩টির মতো সোশ্যাল মিডিয়া সেল প্রচার কাজ চালাচ্ছে। ‘বিজেপি খানাকুল ২০২ অফিসিয়াল’- তাদের মধ্যে অন্যতম। এই গ্ৰুপেই বিধায়ক ও কনভেনরের বাগযুদ্ধর স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বিজেপি বিধায়ক লিখেছেন, ‘বিমান ঘোষের স্নেহধন্য ব্যক্তি খানাকুল বিধানসভার কনভেনর নির্মল মান্না প্রচার অভিযানে কার্যকর্তাদের বাধা দিচ্ছেন। উনি পিকের টিমের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন নিশ্চিত।’ তার পাল্টা নির্মলবাবু লিখেছেন, ‘এমএলএ সাহেব আপনি যে মূর্খ তার প্রমাণ দিলেন। ভয়েস রেকর্ডিংটা ভালো করে শুনবেন।’ বিধায়ক ও কনভেনরের বিরোধ প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি নেতৃত্ব আসরে নামে। গ্ৰুপ থেকে দু’পক্ষের বাগযুদ্ধ দ্রুত মুছে ফেলা হয়। যদিও আড়াল করার চেষ্টা সফল হয়নি। বাগযুদ্ধের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এনিয়ে নির্মলবাবু বলেন, স্থানীয় এক শক্তি প্রমুখকে কোথায় কোথায় প্রচার ও দেওয়াল লিখন করতে হবে, সেটা বলেছিলাম। সে আমার কথা সম্পূর্ণ ভুল বুঝে সুশান্তদাকে কথাটা অন্যভাবে বলে। তারপরেই উনি গ্ৰুপে আমার নামে অভিযোগগুলি করেন। ওই বক্তব্যের জন্য উনি অনুতপ্ত। আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। আবার একসঙ্গে প্রচার করছি।
রাজনৈতিক মহল অবশ্য মনে করেছে, বিরোধের শিকড় আরও গভীরে। বিজেপি বিধায়কের লেখায়, ‘বিমান ঘোষের স্নেহধন্য’ উল্লেখের মধ্যেই আড়ালে থাকা বিমান ও সুশান্ত ঘোষের বিরোধ সকলের সামনে চলে এসেছে। রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে দু’জনের দীর্ঘদিনের সখ্যতা কি তবে শেষ হয়ে গিয়েছে? মহকুমার রাজনৈতিক মহলে এনিয়ে দিনভর চর্চা চলে।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমানবাবুকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দু’জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিটে গিয়েছে। এটা কোনও বড় বিষয় নয়। সুশান্তবাবু ফোনে বলেন, আমাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেইসব এখন মিটে গিয়েছে।
তবে এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, একজন বিধায়ক নিজের দলের কনভেনরের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়া ও ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এরাই আবার অপপ্রচার করে। এই দলটাকে মানুষই শিক্ষা দেবে।