বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দীঘা এলাকাটি রামনগর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর দীঘাকে গোয়ার মতো করে গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দীঘাকে নতুন করে সাজাতে উদ্যোগী হন। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা দীঘার উন্নয়ন ও প্রশাসনিক দিক দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। উন্নয়ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে দীঘার উন্নয়নের কাজ চলছে। দীঘার প্রবেশপথে রয়েছে ওয়েলকাম গেট, যা পর্যটকদের আকর্ষণ। কয়েকবছর আগে মোহনা থেকে ওড়িশা সীমান্তে উদয়পুর পর্যন্ত সমুদ্রপাড় কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। দীঘার একাধিক সুসজ্জিত বিশ্ববাংলা পার্ক হয়েছে। দীঘায় ওড়িশা বর্ডারের কাছে ‘ঢেউসাগর’ পার্ক তৈরি হয়েছে, যার নামকরণ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠেছে ‘নেচার ট্রেল পার্ক’। অমরাবতী পার্ক নতুন করে সেজেছে। পুলিস হলিডে হোমের কাছে নতুন পার্ক এবং ওল্ড দীঘায় সত্যজিত পার্ক তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি পার্কেই পর্যটকের ঠাসা ভিড় থাকে। শহরে যানজট কমাতে এবং সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থার স্বার্থে দীঘা বাইপাস তৈরি হয়েছে। সমুদ্র উপকূল বরাবর পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য দীঘা থেকে কাঁথির শৌলা পর্যন্ত ‘সৈকত সুন্দরী’ মেরিন ড্রাইভ এবং তিনটি ব্রিজ তৈরি হয়েছে। দীঘায় মিটিংয়ের জন্য কোনও বড় কনভেনশন হল ছিল না। রাজ্য সরকার ‘দীঘাশ্রী’ কনভেনশন হল তৈরি করেছে। দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে পরিকাঠামোগত দিক দিয়ে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে উন্নয়ন সংস্থা। তবে দীঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় চমক। বর্তমানে মন্দির তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। আরও যে কত কাজ হচ্ছে, তার ইয়ত্তা নেই।
রামনগর বিধানসভা তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক তথা রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাইচরণ সার বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই দীঘা পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। একথা বিরোধী দলের নেতারাও অকপটে স্বীকার করে নেন। দীঘাকে ঘিরে যা কর্মকাণ্ড হয়েছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। আগামীদিনে দীঘা আরও বদলে যাবে। আমরা প্রচারে বেরিয়ে এটাই জনগণের কাছে তুলে ধরছি। দীঘার বদলে যাওয়া নিয়ে শাসকদলের প্রচারকে কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, দীঘার কিছু অংশে সৌন্দর্যায়ন এবং কয়েকটি পার্ক কাজ ছাড়া সেভাবে কিছু হয়নি। উন্নয়নের নামে ঝাউবন কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। সব হকার স্টল পাননি।