গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ পাঁচবজরী গ্রামের বিজেপি কর্মী সৈকত মাইতি সহ মোট ১০জন ওই গ্রামেরই তৃণমূল কর্মী শোভনলালের বাড়িতে যায়। তাঁকে মারতে মারতে বাড়ি থেকে টেনে পাঁচবজরী প্রাইমারি স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ইটাবেড়িয়া ফাঁড়ির তদন্তকারী অফিসার সহ পুলিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পুলিসের হাতে শোভনলালকে তুলে দিতে অস্বীকার করে বিজেপির লোকজন। গ্রামে সালিশি সভা বসে।
ইটাবেড়িয়া ফাঁড়ির পুলিস বাধা পাওয়ার পর ভূপতিনগর থানায় খবর দেওয়া হয়। সন্ধ্যা নাগাদ ভূপতিনগর থানার ওসি দুই সেকশন আধাসেনা নিয়ে পাঁচবজরী গ্রামে যান। কাঁথি থেকে মহকুমা পুলিস অফিসারও ভূপতিনগর থানায় আসেন। সেখানে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের ঝামেলা হয়। শেষমেশ বিজেপি কর্মীদের কাছ থেকে জখম তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়। তারপর জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে বিজেপির কব্জা থেকে উদ্ধার করে মুগবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে আনে পুলিস। ওই ঘটনায় বিজেপি কর্মী বিমলেন্দু মিশ্র শোভনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। পাল্টা গৌরহরি বিজেপি কর্মী সৈকত মাইতি সহ ১০জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
গত পঞ্চায়েত ভোটে ভগবানপুর-২ ব্লকের ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। তারপর থেকেই নানা অছিলায় সালিশি বসিয়ে চাষ বয়কট, জরিমানা আদায় এবং হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় মৈশালী গ্রামের তৃণমূল কর্মী গৌরহরি দাস ও জিয়াখালি গ্রামের আর এক কর্মী চিত্তরঞ্জন প্রামাণিকের চাষ বয়কট করেছে বিজেপি। পুলিসের কাছে দরবার করেও সমাধান হয়নি। তাই এবার তাঁদের বোরো চাষ হয়নি। জিয়াখালি গ্রামের আর এক তৃণমূল কর্মী অজয় কুইল্যা মোটা অঙ্কের জরিমানা দিয়ে বোরো চাষের অনুমতি পান।
ইটাবেড়িয়া এলাকা থানা থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় সম্প্রতি রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে ফাঁড়ি চালু হয়েছে। সেখানে অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি কালীপদ বর্মন বলেন, পঞ্চায়েত দখলের পর থেকেই বিজেপি আমাদের উপর অত্যাচার করছে। বাম জমানায় সিপিএম করা লোকেরাই এখন বিজেপির জার্সি চড়িয়ে আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করছে। শোভনলালের বিরুদ্ধে মিথ্যা মেয়েঘটিত অভিযোগ তুলে গ্রামের স্কুলে আটকে রেখে মারধর করা হয়।
ভগবানপুরের বিধায়ক বিজেপির রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, আমাদের লোকজন কাউকে বাড়ি থেকে জোর করে তোলে না। নিশ্চয়ই কোনও সমাজবিরোধীকে গ্রামবাসীরা তুলে নিয়ে গিয়েছিল।