গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ডেবরার ট্যাবাগেড়িয়ায় কাঁসাই নদীর উপর একটি অস্থায়ী সেতু রয়েছে দীর্ঘদিনের। সোমবার সেই অস্থায়ী সেতু জলের তোড়ে ভেঙে যায়। সেটি নির্বাচনের ‘হাতিয়ার’ করে তোলেন হিরণ। মঙ্গলবার বিকেলে ডেবরা বিডিও অফিসে যান তিনি। বিডিওর সামনে বসে তিনি অভিযোগ করেন, আমি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকা থেকে বালি চুরি করেন এখানকার সাংসদ। খাদানে বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। তা যাতে কেউ ধরতে না পারে, তাই রবিবার রাতে জল ছেড়ে খাদান ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। সেই জলের তোড়ে অস্থায়ী সেতুটি ভেঙে গিয়েছে। সেতু পার হতে টাকা নেওয়া হতো বলেও অভিযোগ করেন হিরণ।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি প্রার্থী। এরপর পায়ে পা তুলে তিনি বলেন, দীপক অধিকারীকে ৩০ শতাংশ কাটমানি তুলে দেওয়ার জন্য অবৈধ কাজকর্মগুলিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বিডিও, এসডিও, আইসি, ওসি, এসপিরা। তবে জেতার পরে কীভাবে এদের টাইট দিতে হয় দেখব। হিরণ বলেন, গ্রামের মানুষকে বলব যেভাবে হোক লাঠি, ঝাঁটা দিয়ে হলেও এইসব লোককে গ্রামে ঢুকতে দেবেন না। আগামী দু’মাস তৃণমূলের দলদাস পুলিস, বিডিও, এসডিওদের ঢুকতে দেবেন না। জেতার পরে কীভাবে কী করতে হয়, আমি বুঝে নেব। হিরণকে এও বলতে শোনা যায়, ‘দু’মাস পর সাংসদ হয়ে বিজেপির প্রতিনিধি আসবে। আপনি দেখে নেবেন তখন। আইসি, ওসি, এসপিদের কত ক্ষমতা দেখিয়ে দেব’।
এনিয়ে তৃণমূলের ডেবরার ব্লক সভাপতি প্রদীপ কর বলেন, কুঁজোর যেমন চিত হয়ে শোবার ইচ্ছে হয়, হিরণেরও তেমন হয়েছে। এখন থেকেই ভোটে জেতার স্বপ্ন দেখছেন! হিরণ যত বেশি দেবকে আক্রমণ করবেন, ততই ওঁর ভোট কমবে। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও পুলিসের বিরুদ্ধে লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হিরণ। এবার শোকজ করা হল তাঁকে। যদিও নিজের মন্তব্যে অনড় হিরণ। তিনি বলেন, কোথাও অবৈধ বালি খাদান চললে তা আটকাতে গেলে গ্রামবাসীদের পুলিসের বাধার মুখে পড়তে হয়। তাহলে লাঠি, ঝাঁটা নিয়েই পুলিস, এসডিও, বিডিওদের আটকাতে হবে। গ্রামবাসীরা না আটকালে এই অন্যায় চলতেই থাকবে। একথা আমি এখনও বলছি। নিজস্ব চিত্র