শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
অদূরেই চ্যালেঞ্জ মোড়। যেখানে নামীদামি দোকান, শপিং মল মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। আতঙ্কের সামান্য ছাপও পড়েনি বাজার-হাটে। রাস্তার খাবারের দোকান থেকে শাড়ির দোকান, ক্রেতারা সর্বত্র ভিড় জমাচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার একটা অংশ কন্টেইনমেন্ট এর আওতায় এসেছে। অপর অংশকে বাদ রাখা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সচল রাখা হয়েছে।
কিন্তু এত সহজে কী মানুষকে আটকানো যায়! পুলিসের নজর এড়িয়ে ব্যারিকেড পেরিয়ে এদিক ওদিক হচ্ছেন কয়েকজন। পুলিসের নজরে এলে যদিও বাধা পেতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু শহরের কন্টেইনমেন্ট জোনের লকডাউন চিত্র বুঝিয়ে দিচ্ছে, যথেষ্ট কড়া হওয়া ছাড়া উপায় একেবারেই নেই।
জেলাশাসক বিভু গোয়েল যদিও বলেছেন, ওখানকার লকডাউন আমরা আরও শিথিল করব। ওখানে পজিটিভ রোগীর সন্ধান মেলার পর অনেকদিন হয়ে গিয়েছে। বাকিদের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। ভয়ের কিছু নেই। যা করা হয়েছে, সবটাই নিয়ম মেনে। তবে এখন লকডাউন পালন হচ্ছে। পুলিস নজরদারিও চালাচ্ছে। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলার বুলবুল সরকার বলেন, সত্যিই ওই জায়গার চিত্রটা অদ্ভুত। এনিয়ে যদিও অনেকে প্রশ্নও তুলছেন। তবে এসব না ভেবে আমরা লকডাউন সফল করতে যাবতীয় চেষ্টা চালাচ্ছি। ওখানকার মানুষের কিছু দরকার হলেই যাতে পান, তা আমরা দেখছি।
নদীয়া জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৫ থেকে বেড়ে ৩৪ হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, শুক্র এবং শনিবার নতুন করে আরও ৯টি এলাকাকে কন্টেইনমেন্টের তালিকায় আনা হয়েছে। কিছু এলাকা বাদ দেওয়া হবে, নতুন কিছু এলাকা ঢুকবে। এটা একদম স্বাভাবিক বিষয়। সব এলাকায় পুলিস রয়েছে।