শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
ধৃতদের মধ্যে একজন তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নেতা বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, রাজনৈতিক গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই হামলা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সম্প্রতি মালদহে একাধিক তৃণমূল নেতার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এমন আবহে এই ঘটনায় রায়গঞ্জে শাসকদলের অন্দরে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে এর পিছনে দলীয় কোনও সমস্যা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পুলিস বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মারাইকুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃষা প্রামাণিক রায়ের বাড়িতে। মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানের প্রাসাদোপম বাড়িটি রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া দেবীনগর এলাকায়। তাঁর স্বামী কুশল প্রামাণিকও জেলা যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি। এদিন ভোরে দুষ্কৃতীরা ওই বাড়িতে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। তৃষা বলেন, বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলাম। আচমকা বোমাবাজির শব্দে ঘুম ভাঙে। গুলিরও শব্দ শুনেছি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই গালিগালাজ করতে করতে বড় বড় পাথর, ইট আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছুঁড়তে থাকে কয়েকজন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা ইট ও পাথরের বৃষ্টিতে বাড়ির বেশ কয়েকটি জানালা, দরজার কাচ ভেঙে গিয়েছে। ঘরের ভিতরে ভাঙা কাচের টুকরো ছড়িয়ে যায়। বাড়ির মধ্যে মদের বোতল ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভয়ে বাড়ির বাইরে বেরতে পারিনি। আমরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। প্রধানের স্বামী কুশল বলেন, সাহস করে এলাকার কয়েকজনকে ফোন করি। পুলিসকেও ফোনে ঘটনার কথা জানানো হয়। পুলিসও ঘটনাস্থলে আসে। ইতিমধ্যে বাড়ির সামনে থেকে একজনকে তার বাইক সহ আটক করা হয়। আমাদের অনুমান এই হামলার নেপথ্যে বড় কারও চক্রান্ত থাকতে পারে।
ঘটনার পর সেখানে যান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি তথা পার্শ্ববর্তী সংসদের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে পার্থ দাস। সেখানে তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় প্রধান ও প্রধানের স্বামীর। পার্থর দাবি, যাঁদের বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁরা কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্বে রয়েছেন। ক্যাটারিং করে বাড়ি ফিরছিলেন সেসময়। যদিও পরে তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতি রন্তু দাস ঘটনাস্থলে আসেন এবং দাবি করেন, এই ঘটনার পিছনে দলীয় কোনও কোন্দল নেই। বিজেপির চক্রান্ত থাকতে পারে। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব তা অস্বীকার করেছে। নিজস্ব চিত্র।