শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ভুয়ো রেশন কার্ড আছে কি না তা সচিত্র ভোটার তালিকা মিলিয়ে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছি। প্রত্যেক ইন্সপেক্টররা আমাকে সার্টিফাইড করবেন যে তাঁদের এলাকায় কোনও ভুয়ো রেশন কার্ড নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খাদ্যদপ্তরকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন জেলাশাসক। বৈঠকে মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক, খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের জেলা নিয়ামক সহ সমস্ত ব্লকের খাদ্যদপ্তরের ইন্সপেক্টর, রাইস মিলার অ্যাসোসিয়েশন, জেলার সমস্ত ধান ক্রয়কেন্দ্রের পিও (পার্চেস অফিসার) এবং ডিও (ডেসবার্স অফিসার) উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক ব্লক ধরে ধরে ইন্সপেক্টরদের কাছ থেকে ভুয়ো রেশন কার্ডের বিষয়ে জানতে চান। খাদ্যদপ্তরের এক ইন্সপেক্টরকে এদিন জেলাশাসক প্রশ্ন করেন, আপনি কি নিশ্চিত যে আপনার এলাকায় একটিও ভুয়ো রেশন কার্ড নেই? ডিএমের প্রশ্নের উত্তরে ওই আধিকারিক জানান যে তিনি এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী নন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, স্বয়ং খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক নিশ্চিত নন তাঁর এলাকায় কোনও ভুয়ো রেশন কার্ড আছে কি না। তাহলে ধরে নিতেই হচ্ছে যে এখনও মালদহ জুড়ে ভুয়ো রেশন কার্ড রয়ে গিয়েছে।
মালদহের মধ্যে চাঁচলে সবচেয়ে বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পরও পরিবারের তরফে মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানানো হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যুর পরও ওই ব্যাক্তির রেশন কার্ডটি সক্রিয় থাকে।
এছাড়াও এদিন আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। যেমন ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে যে পরিমাণ ধান ক্রয়ের পরিসংখ্যান দেখান হচ্ছে আদোতে কি সেই পরিমাণ ধান ক্রয় করা হয়েছে কি না। পাশাপাশি মালদহের এমন কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় কোনও একজনও প্রান্তিক চাষি আছেন কি না, যিনি ফড়েদের মাধ্যমে ধান বিক্রি করেছেন। বা এমন কোনও চাষি আছেন কি না যিনি ধান বিক্রি করে সরকারি সহায়কমূল্য পাননি। রেশন ডিলাররা সরকার থেকে যে গুণমানের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন সেটাই কি গ্রহকদের বণ্টন করছেন। এসব বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে খতিয়ে দেখতে বলেন জেলাশাসক।