কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
একইভাবে গঙ্গারামপুর চৌপথী থেকে হামজাপুর পর্যন্ত রাজ্য সড়কের রাস্তার দু’ধারে অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শহরবাসীকে ঝুঁকি নিয়েই রাজ্য ও জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই চলাচল করতে হয়।
যা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই তীব্র অসন্তোষ শহরবাসীর মধ্যে। গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ড থাকার পরেও কী করে চৌপথী এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে পার্কিং তৈরি হতে পারে, সেটাই আজও বুঝে উঠতে পারেননি শহরবাসী। গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত দাস বলেন, ছয় মাস আগে শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়মিত না হওয়ায় আবারও ছোট ব্যবসায়ীরা জায়গা দখল করে পসরা সাজিয়েছে এবং পার্কিং চলছে। চেয়ারম্যান শহরে ফিরলেই পুরসভাতে মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রাজ্যজুড়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভাগুলি। তবে গঙ্গারামপুর শহরে ফুটপাত দখল মুক্ত করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা বুঝে উঠতে পারছে না পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার গৌড়বঙ্গের ৯ পুরসভার চেয়ারম্যান ও আধিকারিকদের নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। পুরসভাগুলির হাল ফেরাতে নাগরিক পরিষেবার উপর জোর দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই মিটিংয়ে গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ছিলেন না। গঙ্গারামপুরে পুরসভার চেয়ারম্যান না থাকায় সক্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত দাস। গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, গঙ্গারামপুর শহরে ২০১৭ সালের পর থেকে ব্যাপকভাবে ফুটপাত দখল হওয়ায় বর্তমানে শহরবাসীর চলাচলের জায়গা নেই। স্থানীয় কাউন্সিলারা ফুটপাতে বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পার্কিং করে দিয়েছেন। আমি জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাব।