কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
ফুটপাতের উপরে দোকানের সামগ্রী রাখা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও যেসব দোকানের ছাউনি ফুটপাতের বাইরে চলে এসেছে, সেগুলি ১০ জুনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান ও হকারদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে পুরসভা। হকারদের জন্য নির্দিষ্ট জোন করার কথা ভাবছে প্রশাসন।
পুর চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, শহরে কিছু কিছু ব্যবসায়ী দোকান থেকে ছাউনি ফুটপাতে বাড়িয়ে দিয়েছেন। গত ২ তারিখের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১০ তারিখ পর্যন্ত সতর্ক করা হবে। সেইমতো আজ মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। সময় মেনে না সরলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো হকারদের নির্দিষ্ট জায়গা করে দিতে সার্ভে করা হচ্ছে।
শহরের ব্যবসায়ী বিমল বিশ্বাস বলেন, আমার দোকানের সামান্য কিছু সামগ্রী ফুটপাতের ধারে ছিল। সেগুলি সরিয়ে নিয়েছি। আজ পুলিস ও পুরসভার তরফে সতর্ক করে গিয়েছে। নির্দেশ মেনেই চলব।
বালুরঘাট শহরে হকার সমস্যা তেমন না থাকলেও অনেক জায়গায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে। ফুটপাত দখলমুক্ত করতে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে বৈঠক হয়। সেখানে শহরের ব্যবসায়ীদের বিশেষ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সতর্ক করার পর না শুনলে ১০ তারিখের পর অভিযানে নামবে পুরসভা ও পুলিস প্রশাসন। যে সমস্ত ব্যবসায়ী ফুটপাতে ব্যবসা করেন, তাঁদের ফোন নম্বর ও নাম নথিভুক্ত করছে পুরসভা। এদিকে বালুরঘাট শহরের আন্দোলন সেতুতে সকালে রাস্তায় বাজার বসে। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। সেই বাজার সরানোর বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে পুরসভা ও প্রশাসন।
পুনর্বাসন প্রসঙ্গে শহরের হকার গৌতম দাস বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট দোকান নেই। ঘুরে ঘুরে ব্যবসা করি। আমাদের সরালে সমস্যায় পড়ব। কোথায় যাব বুঝতে পারছি না। আগে আমাদের বসার জায়গা করুক প্রশাসন, তারপর সরিয়ে দিলে ভালো হয়।