কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
মোহিতবাবু বলেন, প্রিয়দাকে বাদ দিয়ে এখানে কিছুই ভাবা যায় না। জেলার সার্বিক উন্নয়ন, বিশেষ করে রেল মানচিত্রে রায়গঞ্জকে জায়গা করে দিয়েছেন প্রিয় দা। কাজেই উন্নয়নের কথা বলতে গেলে তাঁর প্রসঙ্গ ওঠা স্বাভাবিক। বিধায়ক এবং পুর চেয়ারম্যান হিসেবে আমার রিপোর্ট কার্ডের সঙ্গে তাই প্রিয়দার আদর্শের কথাও মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছি। প্রসঙ্গত, এই উপ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলায় ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস। অথচ একটা সময় রায়গঞ্জ সহ গোটা জেলাই প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। বাম শাসনকাল থেকে বর্তমান সরকারের সময় পর্যন্ত দীর্ঘদিন রায়গঞ্জ পুরবোর্ড মোহিত সেনগুপ্তর নেতৃত্বে পরিচালনা করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে রায়গঞ্জ বিধানসভা এবং লোকসভা কেন্দ্রটিও ছিল কংগ্রেসের দখলে। গত লোকসভা ভোটে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করেও ভোটের ময়দানে খুব একটা ফায়দা তুলতে পারেনি তারা। ১০ জুলাই রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। এবারও বামেদের সঙ্গে জোট করেই লড়াই করছে কংগ্রেস। বিধানসভার উপ নির্বাচনে কংগ্রেসের হাতিয়ার তাদের সময়কার উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড। উপ নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী মোহিত দশ বছর এখানকার বিধায়ক ছিলেন। একইসঙ্গে প্রায় দু’দশক তিনি ছিলেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যানও। ভোট প্রচারে বেরিয়ে সেই সময়কার উন্নয়নের ফিরিস্তি যেমন মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে, পাশাপাশি পুরনো দিনের কথাও বলছেন তিনি। বিশেষ করে ‘প্রিয় দা’ এই জেলার উন্নয়নের জন্য কীভাবে লড়াই, আন্দোলন করতেন সেই স্মৃতিচারণ করছেন মোহিত সেনগুপ্ত। কখনও আবার তাঁর মুখে উঠে আসছে এইমস প্রসঙ্গ, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। যদিও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কটাক্ষ, হালে পানি পাচ্ছে না কংগ্রেস। তাই প্রয়াত নেতার নাম জপ করেই ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছে তারা। প্রচারে মোহিত সেনগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র