বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
জখমের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে পৈত্রিক জমিতে থাকা ফল ভর্তি লিচু গাছ কাটার অভিযোগ ওঠে ভাই সুভাষকুমার সরকারের বিরুদ্ধে। প্রথমে প্রতিবাদ করেছিলেন আহত দাদা স্বপনকুমার সরকারের স্ত্রী। সেসময় সুভাষের স্ত্রী ও স্বপনবাবুর স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ঘটনার কিছু সময়ের মধ্যে বাজার থেকে আসেন স্বপনবাবু। লিচু গাছ কাটা হয়েছে দেখে তিনি প্রতিবাদ করেন। ভাইয়ের কাছে জানতে চান কেন গাছটি কাটা হল। অভিযোগ, সেসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আচমকাই লোহার রড নিয়ে অভিযুক্ত সুভাষকুমার সরকার ঝাঁপিয়ে পড়ে দাদা স্বপনকুমার সরকারের উপর। অভিযোগ, সুভাষ লোহার রড দিয়ে দাদার বুকে আঘাত করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্বপনবাবু। এরপরই পরিবারের লোকজন স্বপনবাবুকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক জানান তাঁর বুকের পাঁজর ভেঙেছে। সুপার স্পেশালিটতেই চিকিৎসা চলছে স্বপনকুমার সরকারের।
জখম স্বপনকুমার সরকারের ছেলে সঞ্জয়কুমার সরকার বলেন, বাবার বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়েছে। রবিবার অপারেশন হয়েছে। বেধড়কভাবে বাবাকে মারধর করেছেন কাকা। আমার দাদুর জায়গায় লিচু গাছটি। সেটাই কাকা কেটে ফেলেছেন। এর প্রতিবাদ করাতে বাবাকে মারধর করেছেন। আমরা চাই, অভিযুক্তর শাস্তি।
এদিকে অভিযুক্ত সুভাষকুমার সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি গাছটি কাটিনি। দাদা আমাকে মারধর করেছেন। আমিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার হাতে, গলায় আঘাত লেগেছে। দাদা আমাকে মারতে গিয়ে পড়ে যান, তখনই আঘাত পেয়েছেন। লোহার রড দিয়ে আমি দাদাকে আঘাত করেছি বলে যেটা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জখম ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যিনি আহত হয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র