শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
শুধু শুল্ক-যুদ্ধ নয়, বিশ্বজুড়ে আমেরিকার বাড়তি ব্যয় কাটছাঁটের উদ্যোগও নিয়েছে দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউএস-এইড ২ কোটি ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার বা ১৮২ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিত। ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় এসেই তা বাতিল করেছেন। এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ধনকুবের শিল্পপতি এলন মাস্কের নেতৃত্বে গঠিত নয়া দপ্তর ‘ডোজ’। সেই সিদ্ধান্তের পক্ষে এদিন জোরালো সওয়ালও করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাখঢাক না করে এবিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘আমরা ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার ভারতকে কেন দিচ্ছি? ওদের অনেক টাকা আছে। আমাদের কাছে ওরা অনেক কর নেয়। ওদের করের পরিমাণ খুব বেশি। আমরা তাই সেভাবে ব্যবসা করে উঠতে পারি না। ভারত ও তাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাই বলে ভোটের হার বাড়ানোর জন্য ভারতকে ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলারের অনুদান? কেন দেব?’
এরপরেই মোদির সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টানেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আলোচনা চলাকালীন পাল্টা শুল্কের ইস্যুতে স্নায়ুযুদ্ধ চরমে পৌঁছেছিল, ট্রাম্পের কথাতেই তা স্পষ্ট। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগেই তিনি ঘোষণা করেন, ভারতের উপরও সম হারে পাল্টা শুল্ক চাপানো হচ্ছে। ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি মাস্কের সঙ্গে এক যৌথ সাক্ষাৎকারে সেই বৈঠকের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য তুলে ধরেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচারিত হয়। সেখানে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসেছিলেন। ওঁকে আমি সাফ জানিয়ে দিই, আমরাও পাল্টা শুল্ক বসাব। আপনারা যে হারে শুল্ক নেবেন, আমরাও সেই হারে নেব। উনি (মোদি) না, না বলতে শুরু করেন। জানান, বিষয়টি তাঁর ভালো লাগছে না। কিন্তু আমি জানিয়ে দিই, আপনারা যা করছেন, আমরাও তাই করছি। সব দেশের ক্ষেত্রে নিয়ম এক।’
মোদির ওই সফরেই ৫০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত ভারত-মার্কিন চুক্তি হয়েছে। তাতে যে বরফ গলেনি সেটা ট্রাম্পের এই মন্তব্যে স্পষ্ট। মার্কিন এক সংস্থার রিপোর্ট, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বছরে ৭০০ কোটি ডলার ক্ষতি হতে পারে ভারতের। মার্কিন পণ্যের উপর ভারতের চড়া হারে শুল্ক আরোপ নিয়ে যৌথ সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন মাস্কও। বলেন, ‘গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কর চাপানো হয় ভারতে।’ সেই কথার রেশ ধরে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, আমেরিকার চীনাবাদাম ও অন্য পণ্যের ক্ষেত্রেও শুল্ক খুব বেশি। সেই কারণেই আমি বলেছি, আপনাদের পণ্যেও পাল্টা শুল্ক চাপাব। আপনারা যে হারে কর চাপাচ্ছেন, আমরাও সেই হারে নেব।’ প্রধানমন্ত্রী মোদি আপত্তি তোলেননি? ট্রাম্পের এক রা, ‘আমার সঙ্গে কোনও তর্ক চলবে না।’