অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে প্রিটার্ম ডেলিভারিতেও ভয় পাচ্ছেন না কর্মসূত্রে আমেরিকায় থাকা ভারতীয় দম্পতিরা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়কালের আগেই সন্তানের জন্ম দেওয়া। ইতিমধ্যে এই ধরনের একাধিক আর্জি শুনেছেন নিউ জার্সির ডাঃ এস ডি রামা। তাঁর কথায়, ‘কিছুদিন আগেই স্বামীর সঙ্গে এক মহিলা এসেছিলেন। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও প্রিটার্ম ডেলিভারির আর্জি জানাচ্ছিলেন। অথচ মার্চের আগে ওই মহিলার ডেলিভারি হওয়ার কথা নয়।’ গত দু’দিনে কমপক্ষে ২০ জন দম্পতির সঙ্গে কথা বলেছেন টেক্সাসের ডাঃ এস জি মুক্কালা। তিনি বলেন, ‘প্রিটার্ম ডেলিভারির ক্ষেত্রে মা এবং সন্তানের জীবনের ঝুঁকি থাকে। জন্মের পর সদ্যোজাতের বেশকিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রত্যেক দম্পতিকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দম্পতির মধ্যে একজনকে মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী হতে হবে। এখন বেশিরভাগ ভারতীয় আমেরিকায় এইচ-১বি বা এল১ ওয়ার্ক ভিসায় কাজ করেন। গ্রিন কার্ডের জন্য লক্ষ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া চলছে ধীর গতিতে। এতদিন সন্তানের বয়স ২১ বছর হলেই মা-বাবা গ্রিন কার্ডের অধিকারী হতেন। সেই ব্যবস্থা আর থাকছে না। এই আবহে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়রা। প্রিয়া নামে এক মহিলার আক্ষেপ, ‘ছ’বছর ধরে গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় রয়েছি। ভেবেছিলাম সন্তান এখানে জন্ম নিলে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা আর হল না।’ একই কথা শোনা গেল ২৮ বছর বয়সি এক যুবকের গলায়। তিনি বলেন, ‘এখানে আসার জন্য কতকিছু ত্যাগ করেছি। এখন মনে হচ্ছে, সব দরজা এক এক করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’ সব মিলিয়ে ট্রাম্পের নাগরিকত্ব নীতি নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।