কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
২ নভেম্বর আচমকা ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে আয়োজিত শিবিরে তাণ্ডব চালায় খালিস্তানপন্থীরা। সেখানে কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের লাইফ সার্টিফিকেট প্রদানের আয়োজন করেছিল হাই কমিশন। অভিযোগ, শিখস ফর জাস্টিসের সমর্থকরা হাতে পতাকা, লাঠি নিয়ে ভক্তদের উপর চড়াও হয়। দেওয়া হয় ভারত-বিরোধী স্লোগানও। তারপরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়নি কানাডার পিল রিজিওনাল পুলিস। প্রকাশ্যে খালিস্তানপন্থীদের সমর্থনের অভিযোগে অবশ্য হারিন্দর সোহি নামে পুলিসের এক সার্জেন্টকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
পরের দিন ভ্যাঙ্কুভারের সারির লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে আরও একটি শিবিরেও হামলা চালায় খালিস্তানপন্থীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শিবির বন্ধ থাকলে ভোগান্তির শিকার হবেন পেনশন প্রাপকরা।
এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে সেদেশের বিদেশমন্ত্রী পেনি ওঙ্গের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ‘অস্ট্রেলিয়া টুডে’ নামে একটি সংবাদমাধ্যম দুই বিদেশমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের সম্প্রচার করে। জয়শঙ্করের একটি সাক্ষাৎকারও সেখানে দেখানো হয়। অভিযোগ, এরপরেই কানাডায় ওই সংবাদমাধ্যমের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল ব্লক করে দেয় সেখানকার প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘আমরা হতবাক। এই ধরনের পদক্ষেপ বাক স্বাধীনতা সম্পর্কে কানাডার অবস্থান আরও স্পষ্ট করে। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী কানাডার তথ্যপ্রমানহীন একতরফা অভিযোগ, ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর নজরদারি ও রাজনৈতিক স্বার্থে ভারত-বিরোধী সংগঠনকে সমর্থনের মতো প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়া টুডে চ্যানেল কেন ব্লক করা হয়েছে আশা করি সকলেই বুঝতে পারছেন।’