কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
বুধবার মার্কিন বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ২০২৩ সালের এই রিপোর্ট প্রকাশ করার সময়ই পৃথকভাবে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তবে একইসঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার্থে নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসাও করেছেন ব্লিঙ্কেন। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে মোদি সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া বজায় রাখবে আমেরিকা।’ ব্লিঙ্কেন প্রকাশিত এই রিপোর্টে দাবি, ভারতের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১০টিতে ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইন রয়েছে। বিশেষ করে বিবাহের ক্ষেত্রে বলপূর্বক ধর্মান্তর নিয়ে কিছু রাজ্যে জরিমানাও করা হয়। কিন্তু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের অভিযোগ, ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না সরকার। রিপোর্টে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের দাবি, ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইনে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে, আইন মেনে ধর্মীয় আচার পালন করা সত্ত্বেও ভুয়ো ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে সংখ্যালঘু মানুষকে জেলে ভরা হচ্ছে। জো বাইডেন প্রশাসনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (ইউসিসি) প্রসঙ্গও। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বারবার জাতীয় স্তরে ইউসিসি চালুর পক্ষে সওয়াল করছেন। অথচ, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা এবং কিছু রাজ্য এই উদ্যোগের বিরোধিতাই করছে। তাদের আশঙ্কা, ইউসিসি চালুর অছিলায় ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের এই রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল (আইএএমসি)। মোদির ভারতকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ (সিপিসি) বা বিশেষ উদ্বেগজনক রাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। সংগঠনের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর রশিদ আহমেদ বলেন, ‘ভারতকে যে সিপিসি তালিকাভুক্ত করা উচিত, মার্কিন বিদেশ দপ্তরের নিজস্ব রিপোর্টেই তা স্পষ্ট।’