উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শাসকদলের প্রার্থী সজিথ প্রেমাদাসা হেরে যান। তারপরই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বিক্রমাসিঙ্ঘের উপর চাপ বাড়তে থাকে। এরপর মঙ্গলবার তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান। বুধবার সিংহলী ভাষায় একটি বিশেষ বিবৃতি দেন বিক্রমাসিঙ্ঘে। সেখানে তিনি জানান, নতুন রাষ্ট্রপতিকে সরকার গড়ার সুযোগ করে দিতেই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, এখনও তাঁর সরকারের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু, সদ্যসমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল তাঁদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। মানুষের সেই রায়কে সম্মান জানাতেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির প্রধান নেতা বিক্রমাসিঙ্ঘে। তিনদফায় তিনি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।
এদিকে, গত শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গোতাবায়া রাজাপাকসে জেতার পরই দলের মধ্যেও প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছেন বিক্রমাসিঙ্ঘে। দলের একটা বড় অংশ তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে। দলের তরুণ নেতা তথা মন্ত্রী হরিন ফার্নান্দো অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ এবং দলের নেতা হিসেবে প্রেমাদাসার নাম ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এমনকী, দাবি না মানা হলে, আলাদা দল গঠনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ফার্নান্দো।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার সংসদে প্রবেশ করেন মহিন্দা রাজাপাকসে। ২০০৫ সালে তিনি ক্ষমতা দখল করেন। দ্বীপরাষ্ট্রে প্রায় তিনদশক ধরে চলা এলটিটিই’র সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন মহিন্দা এবং গোতাবায়া। অন্যদিকে, ২০১৮ সালে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা হঠাতই বিক্রমাসিঙ্ঘকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী করা হয় মহিন্দা রাজাপাকসেকে। গোটা দেশজুড়ে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়। যদিও, পরে সিরসেনার সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে রায় দেয় শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ আদালত।