শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
কুম্ভমেলায় অব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যে সবর হয়েছে বিভিন্ন মহল। এব্যাপারে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২৯ জানুয়ারির মহাবিপর্যয়ে ‘মৃতের প্রকৃত সংখ্যা কেউ জানেন না’ বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে কুম্ভমেলায় অব্যবস্থা ও পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা আড়াল করার অভিযোগ এনে যোগী সরকারকে চেপে ধরে বিরোধীরা। সরকারের কৈফিয়ত চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যোগী জানান, ওইদিন (২৯ জানুয়ারি) কুম্ভে একটি নয়, জোড়া পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছিল। সঙ্গম ঘাটের কাছের বিপর্যয়ে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩০ পূণ্যার্থী। মেলা চত্বরে দ্বিতীয় একটি ঘটনায় মৃত্যু হয় আরও ৭ জনের। এছাড়া ওই দিন প্রয়াগরাজে মোট ৯৫ থেকে ১০০ পূণ্যার্থী জখমও হয়েছিলেন। এই বিপর্যয়ের জন্য সেদিনের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের দিকে পরোক্ষে আঙুল তুলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, প্রবল ভিড়ে সঙ্গমের কাছে ব্যারিকেড ভেঙে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার দিন অমৃতস্নানের জন্য মেলায় এসেছিলেন পাঁচ কোটি পূণ্যার্থী। প্রয়াগরাজ শহরেও তিল ধারনের জায়গা ছিল না।
ময়নাতদন্ত না করেই কুম্ভে মৃতদের দেহ বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল যোগী সরকার। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় স্বজনহারাদের পরিজনেরা। ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের এমন অমানবিক আচরণ নিয়ে কয়েক দিন আগে উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা। এব্যাপারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সাফাই, মৃতদের নিকটাত্মীয়দের ‘সম্মতি’ নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দেহ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন ‘প্রত্যেকের নিজস্ব রীতি-নীতি ও বিশ্বাস আছে। ময়নাতদন্ত না করার জন্য তাঁরা আমাদের অনুরোধ করেছিলেন। ওঁরা চেয়েছিলেন, বাড়ি নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য করতে।’ ময়নাতদন্ত করা না হলেও ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে নিয়ম মেনে পূণ্যার্থীদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।