কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ২০০৩’এর পর থেকে অন্তত বার দশেক পাকিস্তানে গিয়েছে জাভেদ। ওই সময় টিইউএমের এই জঙ্গি কাজ করত জয়েশের হয়ে। কান্দাহারে আইসি ৮১৪ হাইজ্যাক কাণ্ডের মুল চক্রী মাসুদ ও তার ভাই আব্দুল তখন কাশ্মীরে পুরোপুরি সক্রিয় ছিল। একইসঙ্গে নেপালেও ঘাঁটি ছিল জয়েশের। পাকিস্তান ও নেপালে বারবার যাওয়ায় গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়, মাসুদকেই ‘আদর্শ’ করে থাকতে পারে জাভেদ। দীর্ঘ জেরায় সে তদন্তকারীদের সামনে ভেঙে পড়ে। জানায়, কাশ্মীরে থাকা মাসুদের ঘনিষ্ঠ এক শাগরেদ তাকে পাকিস্তান নিয়ে যায়। তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী আব্দুলের সঙ্গে। এই আব্দুলের বিরুদ্ধেই কিন্তু ভারতে ২০০১ সালে সংসদ হানা, মার্কিন সাংবাদিক ডানিয়েল পার্ল অপহরণ-হত্যাকাণ্ড ছাড়াও ২০১৬ পাঠানকোট সেনা ঘাঁটি ও ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার মতো মামলা ঝুলে রয়েছে।
জঙ্গি জাভেদ জেরায় জানিয়েছে, তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদে। সেখান থেকে বালাকোটে জয়েশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। একদফা আইইডি প্রশিক্ষণ শেষে ‘অ্যাডভান্সড’ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের ট্রেনিং হয়। ওই শিবিরেই আসত ফোজি ভাই ওরফে মহম্মদ উসমান। কে সে? মাসুদ আজহারের ভাইপো। চলতি বছরই সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। জঙ্গি জাভেদের ফোনে তাদের সকলের ছবি তো বটেই, মাসুদের ভাইয়ের বিভিন্ন ভিডিও বক্তৃতাও রয়েছে। সে পুলিসকে জানিয়েছে, বালাকোটে ভারত এয়ার স্ট্রাইক চালানোর পর জয়েশ ও লস্কর এক হয়ে যায়। জয়েশের নির্দেশেই সে লস্করের হয়ে কাজ করছিল। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সুন্দরবন লাগোয়া দুই ২৪ পরগনাকে ‘হট বেড’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টায় ছিল জাভেদ। সেই কারণে তারা ক্যানিং, বাসন্তী, হিঙ্গলগঞ্জের সামশেরনগর, গোসাবার পাঠানখালি সহ বিভিন্ন এলাকা বেছে নিয়েছিল। এখানকার অপেক্ষাকৃত অরক্ষিত নদীপথ ব্যবহার করে পাক হ্যান্ডলাররা নির্বিঘ্নে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা থেকে থেকে যাতে এপারে আসতে পারে, লক্ষ্য ছিল সেটাই। তারপর কাশ্মীর সহ দেশের বিভিন্নপ্রান্তে তাদের পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট নিয়ে কাজ করছিল জাভেদ।