কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের কনৌজ সদরের বিধায়ক অসীম অরুণ একসময় এসপিজি-র প্রধান ছিলেন। দেশের এলিট কমান্ডো বাহিনীর অন্যতম গুরুদায়িত্ব হল দেশের ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ২০০৪ সাল থেকে প্রায় তিন বছর মনমোহনের দেহরক্ষী ছিলেন অসীম। তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোষ্টে নিজের সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিমন্থন করেছেন প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসার।
মনমোহন সিংয়ের ব্যক্তিগত একটি মারুটি ৮০০ গাড়ি ছিল। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল একটি বিএমডব্লু। কিন্তু পুরনো মারুটি ৮০০-এর সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ‘হৃদয়ের যোগ’ কখনও ছিন্ন হয়নি বলে পোস্টে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এই পুলিসকর্তা। তিনি লিখেছেন, ‘ডক্টর সাহেবের একমাত্র গাড়িটি ছিল মারুতি ৮০০। প্রধানমন্ত্রীর বাসভনের বাইরে চকচকে কালো বিএমডব্লর পিছেনে সেটি দাঁড় করানো থাকত। উনি (মনমোহন) আমাকে মাঝেমধ্যে বলতেন, বিএমডব্লতে চড়তে আমার একটুও ভালো লাগে না। তার চেয়ে আমার নিজের গাড়িই ভালো। তাঁকে বোঝাতাম, আরাম নয়, নিরাপত্তার স্বার্থে এমন গাড়ি প্রয়োজন।’
ব্যক্তিগত জীবনে মনমোহন মাটির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করতেন। বেশি মুনাফার জন্য অহেতুক দুঃশ্চিন্তা ডেকে আনাও নাপসন্দ ছিল তাঁর। বিষয়টি স্পষ্ট হয় তাঁর বিনিয়োগের ধরণ দেখে। ১৯৯১ সাল থেকে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ। মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে দাখিল হলফনামায় সামনে এসেছে মনমোহনের ‘বিনিয়োগ মন্ত্র’। ২০১৯ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে এফডি ও ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ছিল সাত কোটি টাকার বেশি। পাশাপাশি পোস্ট অফিসে এনএসএসে ছিল ১২ লক্ষ টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরাপদ সঞ্চয় থেকে মুনাফার অর্থ ফের লগ্নি করা— এই ছিল বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদের ‘বিনিয়োগ মন্ত্র’।