কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
কেন কম পেনশন দেওয়ার অভিযোগ করছেন প্রবীণরা? ইপিএস-৯৫ স্কিমের আওতায় থাকা ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটির রাজ্য শাখার সভাপতি তপন দত্ত বলেন, ‘পেনশনের ক্ষেত্রে ফর্মুলা হল, কর্মচারীর প্রাপ্ত শেষ বেসিক ও ডিএ’র সঙ্গে চাকরির মেয়াদ গুণ করে, তাকে ৭০ দিয়ে ভাগ। এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হয়, কর্মীরা সর্বাধিক ৩৫ বছর চাকরি করতে পারেন। শেষ বেসিক ও ডিএ বলতে কর্মজীবনের শেষ পাঁচ বছরের বেতনের গড় করা হয়। পিএফ দপ্তর নিজেই এই হিসেব সামনে আনে। যাঁরা ডিমান্ড নোটিস পাচ্ছেন, তাঁদের শেষ পাঁচ বছরের বেসিক ও ডিএ’র গড়ের হিসেব কষেই নোটিস পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু পেনশন চালুর পর দেখা যাচ্ছে, চাকরির শেষ পাঁচ বছর নয়, চাকরি জীবনের বেতনের গড় অঙ্কের হিসেবে পেনশন মিলছে। স্বাভাবিক কারণেই সেই টাকা অনেকটা কম। এটা কেন হবে? পাশাপাশি আমাদের বক্তব্য, কোন হিসেবে পেনশন ও বকেয়া দেওয়া হবে, তার উল্লেখ কেন করবে না কেন্দ্র? সরকার নিজেই যখন পাই-পয়সার হিসেব বুঝে নিচ্ছে, তখন পেনশন দেওয়ার ক্ষেত্রে এত ধোঁয়াশা থাকবে কেন?’ ইপিএফও’র কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের প্রাক্তন সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি পরিষদের বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছিলাম, একে হায়ার পেনশন না বলে হায়ার টেনশন বলা ভালো। কারণ, পেনশন না দেওয়ার জন্য যত রকমের ফন্দি আঁটা যায়, তা এঁটেছে কেন্দ্র। নিয়মের গেরোয় বাতিল হয়ে যাচ্ছে সিংহভাগ আবেদন। এর উপর পেনশনও মিলছে কম। বঞ্চিত হচ্ছেন প্রবীণরা।’