কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক বক্তব্যকে সামনে রেখে কটাক্ষ তীব্র করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ট্যুইট করে বললেন, দাবি করা হয়েছিল হাওয়াই চপ্পল পরা লোকজনও হাওয়াই জাহাজ চড়বেন। কিন্তু বিজেপি সরকার পেট্রল, ডিজেলের দাম এমনই বাড়িয়ে দিয়েছে যে চপ্পল পরা মধ্যবিত্তদের সড়কপথে সফর করাই কঠিন হয়ে পড়ছে। সোচ্চার হয়েছেন রাহুল গান্ধীও। তিনি সরাসরি নরেন্দ্র মোদিকে টার্গেট করেছেন। বলেছেন, ভোট আসবে যাবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রয়োজন আজ পূর্ণ হচ্ছে না। বন্ধুদের হাতে ফায়দা তুলে দিতে আম আদমিকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের উপর কর চাপানো হচ্ছে।
আকাশ ছোঁয়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় তোপ দেগেছে তৃণমূলও। দলের নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা বলেছেন, এ তো দিনে ডাকাতি। ২০১৪ সালে সরকার কর বাবদ আদায় করেছিল ৭৫ হাজার কোটি টাকা। আর আজ তা বেড়ে হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা। উপহাসের সুরে ট্যুইট করে তিনি আরও বলেছেন, আমরা নিশ্চই মৃত মানুষের দেশে বাস করি। নাহলে অযৌক্তিকভাবে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম যেভাবে বাড়ছে, অন্য কোনও দেশ হলে নীরবে তা সহ্য করত না। সুর আরও চড়িয়ে নরেন্দ্র মোদির ছবি দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা জহর সরকার। তাঁর তোপ, মোদির রেকর্ড হল জ্বালানি থেকে ২৩ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়। ৮০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তহবিল থেকে ৪ লক্ষ কোটি টাকা তুলে নেওয়া। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, স্রেফ ট্যুইটে টার্গেটই নয়, উৎসবের আমেজ কাটলেই পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে রাস্তায় নামবে বিরোধীরা। যদিও তার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রল, ডিজেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের সঙ্গে অর্থমন্ত্রকের এ ব্যাপারে লাগাতার আলোচনা চলছে।