কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
চলতি মাসে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলায় কাশ্মীরে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। রবিবার কুলগাঁওয়ে খুন হন বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিক রাজা রেশি এবং যোগিন্দর রেশি। গুরুতর জখম হয়েছেন তৃতীয় ব্যক্তি। শনিবারও টার্গেট করা হয়েছিল বিহারের বাঁকার বাসিন্দা অরবিন্দকুমার শাহ এবং সাহরানপুরের সাগির আহমেদকে। এ মাসে উপত্যকায় খুন হওয়া ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনই পরিযায়ী শ্রমিক। গত ৪০ বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করতে কাশ্মীরে আসেন দীনেশ মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে ভূস্বর্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিহারের ভাগলপুরের এই বাসিন্দা। তিনি বলেছেন, ‘পরিস্থিতি খুব খারাপ। অকাশ্মীরিদের বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। হকার ও পরিযায়ী শ্রমিকরা খুন হচ্ছেন। এই অবস্থায় আমরা কাশ্মীরে থাকতে পারছি না।’
একই সুর শোনা গিয়েছে, আর এক আইসক্রিম বিক্রেতা সতীশ কুমারের গলায়। তাঁর কথায়, ‘সবাই আতঙ্কিত। আগে রাস্তার ধারের হকারদের নিশানা করা হতো। এখন বাড়ি গিয়ে তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে। কুলগাঁওয়ে ভিন রাজ্যের দু’জনকে হত্যার পর আমরা কাশ্মীর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের থাকতে বলছেন। কিন্তু নিজেদের ঘরেই আমরা সুরক্ষিত নই। আমাদের পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করছেন। তাঁরা চাইছেন আমরা যেন দ্রুত বাড়ি ফিরে যাই। প্রায় প্রতিদিন এখানে মানুষ খুন হচ্ছে।’
এদিকে রবিবারের নাশকতার দায় স্বীকার করেছে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএলএফ) নামে এক সংগঠন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক বিবৃতিতে তাদের দাবি, প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা। সেখানে আরও বলা হয়েছে, হিন্দুবাহিনীর হাতে গত বছর বিহারে গণপিটুনিতে ২০০ জন মুসলমানের মৃত্যু হয়েছে। তার কোনও নথি নেই। নিজেকে সংগঠনের মুখপাত্র দাবি করে উমর ওয়ানি বলেছেন, ‘ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের আগেই কাশ্মীর ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, না হলে তাঁদের ফল ভুগতে হবে।’ মনে করা হচ্ছে, ইউএলএফ পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠনের শাখা। এর আগে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে আর একটি গ্রুপ নাগরিক হত্যার দায় স্বীকার করেছিল।