অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, সরকারি পরিবহণ নিগমগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্তের গোড়াতেই গলদ ছিল। কারণ, কেন্দ্রের দ্য রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন আইন (১৯৫০) মোতাবেক দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পরিবহণ নিগমগুলি গঠিত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের এই আইন বলেই তৈরি হয়েছিল সিএসটিসি। স্বভাবতই এই সংস্থাকে সংযুক্ত করতে গেলে দিল্লির অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু গত ১৩ বছরে এই আইন বদলের কোনও প্রস্তাব মোদি সরকারের কাছে পাঠানো হয়নি। স্বভাবতই সিএসটিসি’র সঙ্গে সিটিসি কিংবা ভূতলের সংযুক্তিকরণের এই সরকারি ঘোষণার কোনও আইনি স্বীকৃতি নেই। কিন্তু তারপরও ডব্লুবিটিসি’র মতো একটি পৃথক সংস্থা চলছে বহাল তবিয়তে। ‘আইনি বৈধতাহীন’ এই সংস্থার পিছনে রাজকোষ থেকে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের ওই কর্তা আরও বলেন, ডব্লুবিটিসি’র গঠন প্রক্রিয়া ঘিরেই বড়সড় প্রশ্ন রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেন, মুখে এক ছাতার গল্প বলা হলেও এখনও তিনটি নিগমের কর্মীদের সার্ভিস বুক এবং যাবতীয় কাগজপত্র নিজ নিজ নিগমের নামে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট নিগমগুলির নামেই পৃথক ফাইল তৈরি হয়। এমনকী নিগমগুলির কর্মীদের মধ্যেও ‘ঐক্য’ আনা যায়নি। তাঁর দাবি, সিএসটিসি’র ডিপোতে সিটিসি’র বাস ঢোকানো নিয়ে সমস্যা হয়। ফলে নিগমগুলি আদৌ মিশে গেলে তিনটি নিগমের যাবতীয় পরিকাঠামো ডব্লুবিটিসি’র ব্যবহার করা উচিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি তা হয়নি।