কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশি ১১ বছর ধরে কলকাতায় যাতায়াত করছেন। প্রথমে তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা নিয়ে ভারতে আসতেন। আবিদুর জেরায় জানিয়েছেন, তিনি জামাকাপড় ও কসমেটিক্সের ব্যবসা করেন। কলকাতার একাধিক দোকানে তাঁর সামগ্রী যায়। কিন্তু তাঁর পাসপোর্টটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় তিনি বনগাঁ বা বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে ‘ধুর পার্টি’ ধরে এখানে আসতেন। সেই সুবাদেই তাঁর সঙ্গে সীমান্তের এক এজেন্টের পরিচয় হয়। ওই এজেন্ট তাঁকে জানায়, ভারতের ভোটার ,আধার ও প্যান কার্ড হয়ে যাবে। কলকাতায় থাকা তাঁর এক পরিচিত এই ধরনের নথি তৈরি করে থাকে। তাঁকে টাকা দিলেই সমস্ত কিছু অনায়াসে পাওয়া যাবে। তারপর ওই নথির ভিত্তিতে পাসপোর্টও তৈরি করে দেবে তারা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই এজেন্টই আবিদুরকে কলকাতার জাল নথি কারবারের সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তৈরি হয়ে যায় আবিদুরের আধার, প্যান সহ বিভিন্ন নথি। ২০২৩ থেকে পাকাপাকিভাবে কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। ওই নথিপত্র জমা দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টও তিনি তৈরি করে ফেলেছিলেন বলে সূত্রের খবর।
পাসপোর্ট-কাণ্ডের তদন্তে তদন্তে আরও উঠে আসছে, পলাতক মুকেশই জাল নথি তৈরির সিন্ডিকেটের মূল মাথা। তার একাধিক এজেন্ট রয়েছে। কলকাতার এক ব্যক্তির নাম উঠে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ এক্ষেত্রেও মুকেশই জাল নথি তৈরি করে তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরবরাহ করেছে। আরও জানা গিয়েছে, নিজে ভারতীয় নথি তৈরির পর ধৃত নিজেও বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে লোকজন ভারতে ঢোকাতে শুরু করেন। তাদের জাল নথির ব্যবস্থাও করে দিতেন। কলকাতায় এগুলি তিনি কার কাছ থেকে তৈরি করাতেন, জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস।